প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী নয়। এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে ক্যাম্প ত্যাগ করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্বজনদের কাছে তারা চলে যাচ্ছে। অনেকে আবার সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠেছে।
মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে জড়ো হওয়া প্রায় ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১২ সাল থেকে বসবাসরত আবু ছিদ্দিক, মোহাম্মদ নুর বলেন, ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন হলে মিয়ানমারে তারা নিরাপদে বসবাস করতে পারবে না। এ কারণে মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তারা যাওয়ার চেষ্টা করছে।
১৭ ডিসেম্বর টেকনাফের হারিয়াখালী পয়েন্ট দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে শাপলাপুর চেকপোস্ট অতিক্রমকালে পুলিশ ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে। তারা হলেন কুতুপালং ক্যাম্পের সদ্য নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশরাফ আলী (২২) বশির উল্লাহ (১৯) নিয়ামত আলী (২৬) আলী আহমদ (২৬) রাহাত আলী (৩২) সোনা মিয়া (১৯) শামসু মিয়া (২৮) ফোরকান (২৫) ও নজু মিয়া (২৯)।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি দেব নাথ জানান, কুতুপালং ডি-ব্লকের মোহাম্মদ হারুন মিয়া (২০), জিয়াউল হক (১৯), উখিয়ার রাজাপালং গ্রামের আলী হোসেন (২৫), রামু খুনিয়া পালং গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দ (২৬) ও মোহাম্মদ আলম (১৮) পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর রাতে টেকনাফের বড়ডেইল গ্রামের দালাল নুরুল আলমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই রাতে তাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। গোপন সূত্রে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হলে প্রায় ১০/১২ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়।
উখিয়াস্থ মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এমএ আবুল কাশেম জানান, উখিয়ার উপকূল দিয়ে অবৈধভাবে ফিশিং বোটের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গারা উপকূলে ঘুরাঘুরি করছে।