ভারত সরকার মনে করেন, ডোকলাম সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে চীনের তেমন কোনো লাভ হবে না। বরং এতে অধিক হতাহতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। জানা গেছে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কূটনীতির ওপর জোর দিচ্ছে ভারত। এক্ষেত্রে সহায়তা করছে রাশিয়া।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনে অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনের আগেই সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস করতে ভারত ও চীনকে বোঝাচ্ছে রাশিয়া। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অংশ নেবেন। ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছেন, ডোকলাম এবং অন্যান্য সীমান্তে সংঘাতে জড়ানো চীনের জন্য আঞ্চলিক এবং কৌশলগত কোনো সুবিধা বয়ে আনবে না। সশস্ত্র সংঘাত থেকে কেউই লাভের ফসল ঘরে তুলতে পারবে না।
বরং ভারত যদি ১৯৬২ সালের পরিস্থিতি ভোগ না করে তাহলে এশিয়ায় চীন যে সুপারপাওয়ার এবং আমেরিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হওয়ার চেষ্টা করছে সেই লক্ষ্য অর্জনে চীন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সীমান্তের যেকোনো স্থানে সংঘাত পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। উভয় দেশের জন্যই দুর্ভোগ বয়ে আনবে। তবে ডোকলামে ভারতীয় সেনাবাহিনী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।