Home Hot News Today পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা এটি

পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা এটি

0

বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারার পরই জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা এটি।’ ‘বড়ে মিয়া’ হয়তো ভাবতেও পারেননি আরও বড় লজ্জা অপেক্ষা করছে সামনে! শুধু লজ্জা নয়, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশের তীব্রতম যন্ত্রণা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। যে যন্ত্রণায় শুধু ক্রিকেট দল নয়, গোটা পাকিস্তানই কাতর! হাহাকারের বদলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাবেকরা। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের অভিমত, এমন লজ্জায় আগে কখনও পড়েনি পাকিস্তান! তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। এখানেই শেষ নয়। জাতীয় দলের হোয়াইটওয়াশ নিয়ে উত্তপ্ত দেশটির জাতীয় সংসদও। বুধবার রাতে মিরপুরে যখন উৎসবের রেণু উড়ছিল, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তখন যুদ্ধের আবহ! ক্রিকেট দলের ব্যর্থতার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি সরকারকেও তুলাধোনা করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান এখন দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। খুব বড় কোনো ঘটনা না ঘটলে ক্রিকেট নিয়ে সাধারণত মন্তব্য করেন না তিনি। সেই ইমরান খানও উত্তরসূরিদের দুর্দশা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হয়ে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের আট নম্বরে নেমে গেছে পাকিস্তান, এই নির্মম বাস্তবতা বিশ্বাস করতে যেন কষ্ট হচ্ছে ইমরানের, ‘আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে, বাংলাদেশের কাছে ৩-০-তে হারতে পারে পাকিস্তান। ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের আট নম্বরে নেমে যাওয়াটাও অবিশ্বাস্য। আমি আমার ২১ বছরের ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিশ্বের আর কোনো দেশে পাকিস্তানের মতো এত প্রতিভাবান ক্রিকেটার নেই। নিজে পাকিস্তানি বলে এমনটা বলছি না। স্যার ভিভ রিচার্ডসের মতো খেলোয়াড়রাও পাকিস্তান সম্পর্কে একই কথা বলেন।’

এত প্রতিভা থাকতেও গত দু’বছরে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। এই সংকটের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বল কাঠামো ও ক্রিকেট বোর্ডের স্বজনপ্রীতিকে দায়ী করেছেন ইমরান, ‘মেধাবী ক্রিকেটারদের সঠিক পরিচর্যা করা হয় না। স্বজনপ্রীতি বন্ধ না হলে পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতি হবে না। নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে নিয়ে মেধাবী ক্রিকেটারদের পথ রুদ্ধ করে রেখেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এই লোকগুলোকে আগে সরাতে হবে। স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে পাকিস্তানের উচিত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কাঠামো অনুসরণ করা।’

পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা খুরশিদ শাহও বাংলাদেশের বিপক্ষে শোচনীয় ব্যর্থতার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন, ‘একসময় ক্রিকেটে আমরা ছিলাম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আর এখন আমরা বাংলাদেশের কাছে হেরে যাই! দেশের ক্রিকেটকে এ অবস্থায় নামিয়ে আনার জন্য অযোগ্য বোর্ড কর্মকর্তাদের মতো সরকারও দায়ী। অবিলম্বে বোর্ডে পেশাদার লোকদের দায়িত্ব দেয়া হোক।’

তবে যে যেমন পরামর্শই দিক, পাক ক্রিকেটের মৃত্যুঘণ্টা শুনতে পাচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম। চমকে যাওয়ার মতোই শিরোনাম করেছে পাকিস্তান টুডে, ‘রেস্ট ইন পিস পাকিস্তান ক্রিকেট।