যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের শত্রুতা নতুন নয়। ফলে আমাজনকে নিয়ে ট্রাম্পের যেকোনো বক্তব্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।
যার বড় ধরনের প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওস মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প আমাজনকে ঘৃণা করেন। তারা যে প্রক্রিয়ায় কর দেয়, তা পরিবর্তনে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কথা বলছেন।
অ্যাক্সিওস জানায়, ট্রাম্পের সম্পদশালী বন্ধুরা অনলাইন কম্পানিটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ করেছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ট্রাস্ট ল ব্যবহারের বিষয়টি ভাবছেন। এ খবরেই গত বুধবার আমাজনের শেয়ারদর পড়েছে ৫ শতাংশ। ফলে এক দিনে কম্পানির বাজার মূলধন কমেছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।
এরপর গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প অভিযোগ তোলেন আমাজনের বেচাকেনা ও পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া স্থানীয় সরকার এবং খুচরা কম্পানিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন ‘আমার নির্বাচনের সময় থেকেই আমাজনের ব্যাপারে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি।
অন্য কম্পানিগুলোর মতো এ প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকারকে কোনো কর দেয় না। এমনকি আমাদের ডাকব্যবস্থাকে সরবরাহ বয়ের মতো ব্যবহার করে। এতে দেশের বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের কারণেই লাখ লাখ খুচরা ব্যবসায়ী পথে বসতে শুরু করেছে। ’
এরপর গত শনিবারও আমাজনকে এক হাত নিলেন ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস ওয়াশিংটন পোস্ট কিনেছেন কম্পানির জন্য সরকারের সঙ্গে লবিং করার জন্য। তিনি আবারও দাবি করেন, আমাজনের প্যাকেজ ডেলিভারি দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডাকব্যবস্থা বিলিয়ন ডলার লোকসানের মুখে পড়ছে। তবে রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় টুইটের প্রভাব বোঝা যায়নি।
২০১৭ সালের আগস্টেও আমাজনের বিরুদ্ধে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সরকারকে কর প্রদানকারী খুচরা ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি করছে আমাজন। ’ রয়টার্স, এএফপি, ফরচুন।