কন্টাক্ট লেন্স ব্যববাহরে আছে আরও নানা ধরনের ঝুঁকি। লেন্স অপরিচ্ছন্ন রাখলে চোখে ইনফেকশনের ভয় থাকে। ১২ ঘণ্টার বেশি সময় এই লেন্স ব্যবহার করলে, লেন্স চোখে পরেই ঘুমিয়ে পরলে, পানিতে সাঁতার কাটলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ লেন্স কিংবা সল্যুশন ব্যবহারে, দামের দিকে চােখ রেখে মান সম্মতা লেন্স ব্যবহার না করলে এবং সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার না করলে এই কন্টাক্ট লেন্সের মাধ্যমেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে আপনার চোখ। কারণ ভুলে গেলে চলবে না, কন্টাক্ট লেন্স স্পর্শকাতর একটি ‘মেডিকেল ডিভাইস। তবে কি লেন্স ব্যবহার না করাই ভালো? না-
সাবধানতা অবলম্বন করেই চশমার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায় লেন্স, ব্যবহার করা যায় ফ্যাশনের অনন্য অনুসঙ্গ হিসেবে।
আজকাল প্রয়োজনের তুলনায় ফ্যাশনেই বেশি ব্যবহার হচ্ছে কন্টাক্ট লেন্স। পোশাকের রঙের সঙ্গে চোখের রঙ মিলিয়ে এসব লেন্সের ব্যবহার ব্যক্তিত্বে আনে বিশাল পরিবর্তন। তাছাড়া মুড, সময়, অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করেও ব্যবহার করা হয় রঙ বেরঙের লেন্স।
দামে কিছুটা বেশি হলেও চোখের সুরক্ষা ও যত্নে ব্র্যান্ডের কন্টাক্ট লেন্স অনেকাংশে নিরাপদ, বাকিটা নির্ভর করে সচেতনতার উপর। তবে কন্টাক্ট লেন্স ক্রয় এবং ব্যবহারের আগে চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিন, নয়তো ফ্যাশন সচেতনতাই হতে পারে চোখের শত্রু। জেনে নিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের কিছু রীতিনীতি।
– সব সময়ই লেন্স পরা এবং খোলার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে সাবান বা কোনো জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়ার পর হাত শুকিয়ে নিয়ে শুকনো হাতেই লেন্স পরতে বা খুলতে হবে।
– কন্টাক্ট লেন্স কখনোই গোসলের পানি বা অন্য কোনো পানিতে ভেজানো ঠিক না। কারণ পানিটা নিজেই সংক্রমিত হয়ে অতি ক্ষুদ্র জীবাণু লেন্সে লেগে থেকে কর্ণিয়ার আলসার সৃষ্টি করতে পারে।
– গোসল বা সাঁতারের আগে লেন্স খুলে নিতে হবে। এমনকি পানি রোধক ‘ওয়াটার-টাইট গগল্স’ চোখে পরার আগেও লেন্স খুলে নিতে হবে।
– ভুলেও কন্টাক্ট লেন্স থুতুতে ভিজিয়ে রাখা যাবে না বা থুতুর সংস্পর্শে আনা যাবে না। কেননা মুখের ভেতর এবং থুতুতে বহু ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার অনেকগুলোই পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও চোখের জন্য নয়।
– চোখে আইলাইনার বা মাশকারা ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই আগে লেন্স পরে নিয়ে তারপর চোখের মেকআপ করতে হবে।
– কোন কারণে লেন্স পরার পরে চোখ যদি লালচে হয়ে ওঠে কিংবা জ্বালা-পোড়া করতে থাকে, দেরি না করে লেন্স খুলে ফেলতে হবে। চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও দেরি করা ঠিক নয়। লেন্সের বিকল্প হিসেবে সঙ্গেই রাখা উচিৎ চশমা।
– অনলাইনে কন্টাক্ট লেন্স কেনার সুযোগ বেড়েছে। কিন্তু সাবধান, চোখের চিকিৎসকের পরামর্শপত্র অনুযায়ী উপযোগী লেন্সের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর লেন্স কিনতে হবে।