হতে পারে এটা একটা কৌশলও। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল। কিন্তু কাগিসো রাবাদার তোপেই যে প্রথম ওয়ানডেতে চত্রখান হয়ে গেছে বাংলাদেশ, সেটা কী করে ভুলবেন নাসির হোসেন! যার হাতে বিধ্বস্ত হয়েছেন আগেরদিন, তাকেই আবার পরেরদিন নাসির সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন, ‘আহামরি কোন বেলার নন’- বলে।

অভিষেক ওয়ানডেই বল হাতে নিজের আগমনী বার্তা ঘোষণা করেন দক্ষিন আফ্রিকার ডানহাতি পেসার কাগিসো রাবাদা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ১৬ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৬টি উইকেট তুলে নেন এ পেসার। ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তার আগেই, অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে। বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যানের উইকেট নিয়ে গড়েছেন অভিষেকে হ্যাটট্রিকের কীর্তি। সেই পেসারই কি না নাসিরের কাছে ‘আহমরি বোলার’!

অভিষেক ওয়ানডেতে রাবাদার বিধ্বংসী বোলিংয়ে  স্বাগতিক বাংলাশে দল এখন ব্যকফুটে। রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি২০’এর মতো ওয়ানডে সিরিজও জয় করে নেবে দক্ষিন আফ্রিকা। তাই প্রথম ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক ম্যান রাবাদাকে নিয়ে খুবই সতর্ক বাংলাদেশ। যদিও মুখে সেটা স্বীকার করছে না বাংলাদেশ শিবির। বরং, অলরাউন্ডার নাসির হোসেন জনিয়ে দিলেন, তাকে নিয়ে ভীত নয় বাংলাদেশ।

প্রথম ওয়ানডেতে রাবাদার বোলিং পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে নাসির বলেন, ‘সেদিন রাবাদার ৬ উইকেটে কয়েকটা সফট ডিসমিসাল ছিল। বিশেষ করে সৌম্য-লিটন আর দু-একটা ভালো বলে উইকেট ছিল। ৬ উইকেট পেতেই পারে। তবে এটা নিয়ে বাড়তি চিন্তার কিছু নেই। আমি মনে করি না রাবাদা তেমন আাহামরি কোন বোলার; যে আমরা তাকে হ্যান্ডল করতে পারব না!’

বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ দল একের পর এক সিরিজ খেলে চলেছে। তাতে করে খেলোয়াড়াদের মাঝে ক্লান্তি আসতে পারে বলে মনে করছেন কেউ-কেউ। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটাকে কোনো অযুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না নাসির।

টানা ম্যাচ খেলায় খেলোয়াড়দের ক্লান্তির বিষয়ে বাংলাদেশ দলের ডানহাতি এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ক্লান্তি বলতে, আমরা তেমন কঠিন কোন ট্রেনিং করছি না। শুধু ম্যাচের ওপরই আছি এই যা। আমাদের প্র্যাকটিস যা হচ্ছে খুবই নরমাল। আমার মনে হয় না, কারোর কোনো রকম ক্লান্তি আছে।’