৪-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হার! তবে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড যে এখন বদলে যাওয়া এক দল! সাদার বদলে রঙিন পোশাক গায়ে উঠতেই সেই পরিবর্তনের প্রমাণ আরও একবার মিলল। পুনেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ৩৫০ রান, ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেটি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। কিন্তু এই রানটাও ইংল্যান্ডকে জেতাতে পারল না। কেদার যাবদকে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। যাদব-কোহলির জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজেও ভারত এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। পাকাপাকিভাবে সীমিত ওভারের নেতৃত্ব পাওয়ার পর শুরুটা কি এর চেয়ে আর ভালো হতে পারত কোহলির!
জেসন রয়, জো রুট আর বেন স্টোকসরা ব্যাট চালিয়েছেন উইকেটের চারপাশে। সেঞ্চুরি নেই কোনো, কিন্তু রয় (৭২) আর রুট (৬২) রান তুলেছেন এক শর বেশি স্ট্রাইক রেটে। রুট করেছেন ৯৫ বলে ৭৮। স্লগ ওভারে কত বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিল ইংল্যান্ড তার প্রমাণ-শেষ ৮ ওভারে ১০৫ রান! ৫০ ওভার শেষে তাই ইংল্যান্ডের রানটা গিয়ে দাঁড়াল ঠিক ৩৫০। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ৯ বার ৩৫০ বা এর বেশি রান করল ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপের পরই করেছে ৭ বার! বিশ্বকাপের পর এ নিয়ে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ৩০০ ছাড়ানো স্কোরও করেছে ১৫ বার, অন্য কোনো দল করতে পারেনি ১০ বারও! কিন্তু তখন কে জানত, এই রানটাও যথেষ্ট হবে না কোহলি-যাদবদের সামনে!
ষষ্ঠ ওভারের মধ্যেই দুই ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল আর শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে একটা বড় ধাক্কা দেন ডেভিড উইলি। এরপর ১১তম ওভারে স্টোকসের শিকার হয়ে যুবরাজ সিংও গেলেন, পরের ওভারেই তাঁর সঙ্গী ধোনিও। পরের গল্পটা শুধু কোহলি-যাদবের। ১০৫ বলে ১২২ করে স্টোকসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে কোহলি যখন ফিরছেন, ভারতের রান ২৬৫। জিততে তখনো অবশ্য ৮২ বলে ৮৮ দরকার ভারতের। কিন্তু ওদিকে যাদব যে ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন। ২৯ বলে ফিফটি করেছিলেন, ৬৫ বলে সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৭৬ বলে ১২০ করে যাদব যখন আউট হন, ৬১ বলে ৬০ দরকার ভারতের, হাতে ৪ উইকেট। বলে বলে রানের সেই চাপ নিতে গিয়ে পরে আরও একটা উইকেট পড়েছে, কিন্তু লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছেছে ভারত।