রোহিঙ্গা নিধনকে সুস্পষ্টভাবে একটি গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী তিন নারী। একইসঙ্গে এই অপরাধের জন্য দোষীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবিও জানান তারা। নোবেলজয়ী এই তিন নারী হলেন-ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের মরিয়েড মুগুয়ার।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুদিন পরিদর্শনের পর আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তারা। মরিয়েড মুগুয়ার বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে মিয়ানমারে পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞ চলছে। এটা স্পষ্টভাবে গণহত্যা। বার্মিজ সরকার আর সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যা চালাচ্ছে, সেটা মিয়ানমার থেকে, ইতিহাস থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুছে ফেলার পরিকল্পিত চেষ্টা। মানুষ হিসেবে আমরা মিয়ানমার সরকারের এই নীতিকে ধিক্কার জানাই।’
আরব বসন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা সাংবাদিক তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, ‘মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা গণহত্যা ছাড়া আর কিছু নয়। এরপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি চুপ থাকে, সেটা পৃথিবীর সব মানুষের জন্য লজ্জার হবে। যারা এ অপরাধের জন্য দায়ী, তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।’
আর জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন কোনো প্রস্তাব আনা হলে চীন বা অন্য কোনো দেশকে ভেটো না দেওয়ার আহ্বান জানান শিরিন এবাদি। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের ভূমিকার প্রসংশা করেন তিনি।
গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সরকারি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এটিকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।