রাশিয়া, কাতারের কাছ থেকে কি তবে কেড়ে নেওয়া হবে বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা? ফিফারই এক বড় কর্মকর্তা এমন ইঙ্গিত দিলেন সংবাদমাধ্যমকে। এই দুই দেশে ২০১৮ এবং ২০২২ সালে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য ফিফার কর্মকর্তারা বিপুল অর্থের ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে সে আশঙ্কাই সত্যি হয়ে যেতে পারে।

আর কেউ নন, খোদ ফিফার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছেন একটি সুইস দৈনিককে। ফিফার ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন তদন্তকারী পুলিশ এফবিআই। অভিযোগ যদি প্রমাণ হয়ে যায় তা হলে বিশ্বকাপ কেড়ে নেওয়া হতে পারে এই দুই দেশের কাছ থেকে।

আমেরিকার ল এনফোর্সমেন্ট অফিসার ডমেনিকো স্কালাও জানিয়েছেন এমন কথা। তার ভাষায়, ‘যদি তদন্তে দেখা যায় যে, ভোট পাওয়ার জন্য রাশিয়া ও কাতারকে বিশ্বকাপ উপহার দেওয়া হয়েছে, তা হলে তা কিন্তু বাতিলও হয়ে যেতে পারে এই দুই দেশের আয়োজক হওয়ার মর্যাদা। এখনও পর্যন্ত সেই তথ্য অবশ্য সামনে আসেনি।’

ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড দাবি করেছে তারা কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী। কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে পরিস্থিতি বেশ জলঘোলার মতো। এই পরিস্থিতিতে কাতারের সাবেক বিশ্বকাপ বিড টিমের এক কর্মকর্তা এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আগুনে ঘি ঢাললেন। কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ নাও হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন কাতার থেকে ২০২২ বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে ফিফা।

পি আলমাজিদ, কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের বিড দলে ছিলেন ফিফার এই মহিলা উইসেলারটি। ২০১০ সালে বিড করে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ পেয়েছিল কাতার। ওই সময় কাতারের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ উঠে। সেই অভিযোগ এখনও উঠছে বিশ্বজুড়ে। মার্কিন তদন্ত পুলিশ এফবিআইয়ের তদন্তে কাতার বিশ্বকাপের যাবতীয় কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চলে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্বকাপ বিড টিমে থাকা এই কর্মকর্তাটি। সেইসঙ্গে কাতার থেকে ছিনতাই করা হতে পারে ২০২২ বিশ্বকাপ- বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ফিফার কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে যখন চলছে জলঘোলা, তখন প্রেসিডেন্ট শেপ ব্ল্যাটার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তা নিয়েও স্কালা আবার বলেছেন, ‘দুই বা তিন বছর কেউ যদি ফিফা প্রেসিডেন্ট থাকে, তা যথেষ্ট।’

এর আগেও রাশিয়া ও কাতারকে বিশ্বকাপ দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তখন অবশ্য ওই দুই দেশের ফুটবল কর্তারা সাফ বলেছিলেন, বিশ্বকাপ পেতে কোনও রকম ঘুষ দেওয়া হয়নি ফিফার কর্তাদেরকেভ। কিন্তু সাত ফিফা কর্মকর্তা সুইস পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে পুরো পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে।