যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে সব আবেদনকারীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পাঁচ বছরের ইতিহাস জমা দিতে হবে।
আবেদনকারী ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে নামে আছেন, সেই নাম, পুরনো ইমেইল ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর দেয়া বাধ্যতামূলক করতে চাইছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।-খবর এবিসি নিউজ।
এমনকি তাদের কাছ থেকে পাঁচ বছরের ভ্রমণ ইতিহাসও নেয়া হবে বলে জানা গেছে। যারা শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও অবকাশের জন্য দেশটিতে যেতে চাইবেন, তারাও এ ব্যবস্থার আওতায় থাকবেন।
অভিবাসী ও পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ প্রক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিবর্তনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেটির সবচেয়ে বড় সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে সামাজিকমাধ্যমের ইতিহাস চাওয়ার সিদ্ধান্তকে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফেডারেল রেজিস্টারে শুক্রবার এই প্রস্তাব তুলে ধরে এ বিষয়ে জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। ৩০ মার্চ থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এ ব্যাপারে মতামত দেয়া যাবে।
এ নিয়ম কার্যকর হলে বছরে দেড় কোটি ভিসা প্রত্যাশীকে এসব তথ্য দিতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম জানিয়েছে।
এর আগে সামাজিকমাধ্যম, ইমেইল ঠিকানা, পুরনো ফোন নম্বর চাওয়া হতো কেবল অতিরিক্ত তদন্তের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো ভ্রমণ করছেন, এমন ব্যক্তিরাই ওই শ্রেণিতে পড়তেন।সে হিসাবে প্রতি বছর ৬৫ হাজার আবেদনকারী এ তালিকায় আসতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের মুখপাত্র ভার্জিনিয়া এলিয়ট বলেন, আসন্ন হুমকিগুলো মাথায় নিয়ে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য ভিসা আবেদনকারীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান আরও জোরালো করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এতে করে আমরা আবেদনকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব।