বাংলাদেশের ‘ওয়ান্ডার বয়’ এখন সারা বিশ্বের কাছেই বিষ্ময়৷ ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক করা মুস্তাফিজুর রহমান দু’ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে নজির গড়েছেন৷ বল হাতে তার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ঠিক কোনটা? কোন অস্ত্রে বধ হলেন ধোনি, কোহলি, রায়না, ধাওয়ানরা? তাই নিয়েই কাটাছেঁড়া চলছে৷ সেই উত্তর পাওয়া গেল বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার কোচ সারোয়ার ইমরানের কাছে৷ তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজুরের প্রকৃতিপ্রদত্ত বোলিং হলো, আউট সুইং। এটার সঙ্গে ওর স্টকে দুটো ভেরিয়েশন রয়েছে। একটা স্লোয়ার অফ কাটার, একটা ফাস্ট অফ কাটার। ঘটনা হলো, ওর স্লোয়ার ও ফাস্ট কাটারের মধ্যে ওর হাতের অ্যাকশনের যে পার্থক্য, এটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ধরা প্রায় অসম্ভব। ফলে ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারছেন না যে, ওর কোন কাটারটা স্লোয়ার, কোন কাটারটা ফাস্টার।’ স্লোয়ার ও কাটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নয়৷ রিচার্ড হ্যাডলি, ইমরান খানের মতো কিংবদন্তিদের এসব অ্যাকশন করতে দেখা গেছে৷ কিন্তু মুস্তাফিজুরের হাতের অ্যাকশনটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে৷ জয়ের পর বাংলাদেশি পেসার জানিয়েছিলেন, স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্ত পাক পেসার মোহম্মদ আমিরকে আদর্শ বলে মানেন তিনি৷ আমিরের বোলিং স্টাইলটাই অনুসরণ করে থাকেন তিনি৷ একথা পৌঁছে গেছে বাইশ গজে নিষিদ্ধ পাক পেসারের কানেও৷ ১৯ বর্ষীয় মুস্তাফিজুরের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি বলব, ওর সামনে দুর্দান্ত কেরিয়ার অপেক্ষা করে রয়েছে, ওকে খেলা খুব একটা সহজ হবে না৷ ওর হাতে সব অস্ত্রই রয়েছে৷ আর ক্রিকেটের মাথাটাও দারুণ।’ বুধবার ভারতের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠতে চান তিনি৷ ওয়ানডে-তে টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ডের মালিক প্রাক্তন পাক পেসার ওয়াকার ইউনিস৷ ১৯৯০-এ নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন ওয়াকার। মুস্তাফিজের সামনে সেই রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ৷ বুধবার আর দু’টি উইকেট তুলে নিতে পারলেই অজি পেসার রায়ান হ্যারিসের রেকর্ড ছোঁবেন তিনি৷ তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩টি উইকেট নেয়ার রেকর্ড রয়েছে তার