বেশকিছুদিন ধরেই চলছে এমন আলোচনা। নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে বিদেশি তিন খেলোয়াড়কে ভেরানো। তিন বিদেশি ফুটবলার হলেন, মোহামেডানের হয়ে খেলা গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা, আবাহনীর ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফ ও শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগুজি। সপ্তাহখানেক আগে এদের সঙ্গে বাফুফের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে দেরিতে হলেও তা হয়েছে। বুধবার বাফুফের সঙ্গে তিন বিদেশি ফুটবলারের আলাপ-আলোচনা বেশ ইতিবাচক।
তাদের মূল দাবি অবশ্য নাগরিকত্ব। এছাড়া বাড়তি কোনো দাবি প্রথম দফায় করেনি তারা। বাফুফের সঙ্গে ৩ বিদেশি ফুটবলারের বৈঠক সম্পর্কে আবু নাইম সোহাগও বলেছেন, ‘ওদের কোনো বাড়তি চাহিদা নেই। তাদের বলেছি জাতীয় দলের অন্যরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, তারাও তেমনটাই পাবে। তারা আমাদের শর্তে রাজি হয়েই নাগরিকত্বের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছে।’
বাংলাদেশ গত ১১ জুন থেকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পার্থে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ হলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচেই দেখা যেতে পারে এই তিন বিদেশি ফুটবলারকে। তখন অবশ্য তাদের পরিচয় হবে বাংলাদেশিই।
দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে খেলার ফলে বাংলাদেশের প্রতি এক ধরনের টান অনুভব করছেন কিংসলে। তিনি বলেছেন, ‘আর্থিক দিকটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেলে বিষয়টিকে সম্মানজনক প্রাপ্তি হিসেবেই বিবেচনা করব।’
গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরার মনোভাবও তেমনই। তার মতে, ‘জানি, এ দেশের জাতীয় দলের ফুটবলাররা ফেডারেশন থেকে তেমন সুযোগ-সুবিধা পায় না। তবে জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করলে ঘরোয়া ফুটবলে মূল্য বাড়ে। তাই বাংলাদেশ দলে খেলার সুযোগ পেলে আমার লক্ষ্য থাকবে ভাল পারফর্ম করা। যাতে লিগে তার সুফল আদায় করে নিতে পারি।’