আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আ্লইও) এক রিপোর্টে জানা গেছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিবাসী শ্রমিকদেরকে ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রে ১৩টি বড় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সারাবিশ্বে মানব পাচারের বিরুদ্ধে বিশ্ব অভিবাসী শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, লিখিত তথ্যপ্রমাণ, আইনগত সহায়তার ব্যয়, আইনগত প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, প্রতিশোধ ভীতি, বৈষম্যমূলক মনোভাব, অস্পষ্ট সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ববোধ, ভাষাগত জটিলতা,অনিয়মিত লিগেল স্ট্যাটাস, ইমপ্লয়ার টাইড ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট, চলাচলে বিধিনিষেধ, যথাযথ শ্রম আইনের ঘাটতি, অনানুষ্ঠানিক অভিযোগ এবং অধিকার সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানের ৯ শ’ অভিবাসী শ্রমিকের ইমপ্লয়ার টাইড ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট সমস্যার উল্লেখ করে বলা হয়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে একটি ফার্নিচার কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করায় কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তারা চাকরীচ্যুত হয়। তারা এ কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় তাদেরকে অন্য কোন কোম্পানিতে যোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা এখন বড় ধরনের সংকট ও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, এ সকল শ্রমিক বিচারও চাইতে পারছে না। তাদের কর্মস্থল এবং আবাসস্থলের মধ্যে অনেক দূরুত্ব। আইনগত লড়াইয়ের জন্য তাদের পর্যাপ্ত অর্থও নেই। শুধু বেঁচে থাকতেই তাদের অর্থ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বড় বড় দেশগুলোতে মাইগ্রান্ট ওয়ার্ক রিসোর্স সেন্টারে ( এমআরসিএস) জমা পড়া ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এ রিপোর্টটি তৈরি করা হয়।