চলতি মাসে ভারতে শুরু হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে সব দলেরই প্রস্তুতি ম্যাচ থাকে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

তবে এবারের প্রস্তুতি ম্যাচে বলতে গেলে একরকম আইসিসির অবজ্ঞার শিকারই হতে হয়েছে বাংলাদেশকে!

বাংলাদেশে চলছে এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বাহিনী। অথচ আজ বাংলাদেশের সঙ্গে হংকংয়ের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঠিক করে রেখেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ রেখে তো বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ভারতে যাবে না এটা সবারই জানা। তবে বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে পারে এই হিসাবই কষেনি আইসিসি। তা নাহলে এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে কীভাবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি তৈরি করে আইসিসি কর্তৃপক্ষ।

গত বছর থেকেই মাশরাফি বাহিনী যেন ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করে চলেছে। বিশেষ করে নিউজ্যিলান্ড-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ থেকেই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বাংলার টাইগাররা। তাছাড়া ঘরের মাঠে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ও করেছে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ যে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে তা যেন ভুলেই গিয়েছিল আইসিসি।

আইসিসি কী বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার সামর্থ্য নিয়েই পরোক্ষভাবে প্রশ্ন তুলেছে?

আইসিসি সেটা তুললেও বাংলার দামাল ছেলেরা কিন্তু তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দেশ শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান ও আরব আমিরাতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলছে। এক কথায় বলতে গেলে মাশরাফি বাহিনী আইসিসির প্রস্তুতি ম্যাচের সূচিটাকে হাস্যকর বানিয়ে দিয়েছে।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য একটা প্রস্তুতি ম্যাচ বরাদ্দ ছিল। সেটাও আইসিসির অবহেলার কারণেই খেলা হচ্ছে না টাইগারদের।

তাই বিশ্বকাপে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হবে আগামী ১৫ মার্চে। তবে এর আগে বাংলাদেশকে খেলতে হবে ‘কোয়ালিফাইং’ ম্যাচ। এখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং ওমান।

গ্রুপপর্বের শীর্ষস্থান অর্জনকারী দল চলে যাবে মূলপর্বে।
৯ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হল্যান্ড। ১১ মার্চ আয়ারল্যান্ড এবং ১৩ মার্চ ওমানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরু হবে ১৫ মার্চ ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে।
প্রসঙ্গত, রোববার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ শেষে পরের দিন সকালে (৭ মার্চ) বাংলাদেশ দল ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। দিল্লি থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ বিমানে করে ধর্মশালায় যাবে মাশরাফি বাহিনী।