ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এই বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে কার্যক্রম। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যালয়গুলো হলো- রাজাপুর, কঠুরী, কুমার বাড়িল্যা, আলালপুর, শিবপুর, ঘোষপাড়া, বিলপল্লী, কোন্ড, সুলতানপুর, দক্ষিণ বালুখন্ড, আটকাহনিয়া, কুমল্লী, চকোরিয়া চকবাড়ি, কৈলাইল, ডিগনারা, দড়িকান্দা, ভাঙ্গাভিটা, পাড়াগ্রাম, মধুপুর, মৌলভী ডাঙ্গী, ৫৭নং গোবিন্দপুর, কিরঞ্জী, চন্দ্রখোলা, ৬০নং হরিষকুল, ৬৭নং বক্সনগর বালক, বাহ্রা পশ্চিম, আগলা, মাঝপাড়া, মরিচপট্টি, দক্ষিণ মেলেং, আবদানী, সৈয়দপুর, কান্দাবাড়িল্লা, মালিকান্দা, দত্তখন্ড, দুধঘাটা, উত্তর বাহ্রা, হাগ্রাদী গরীবপুর, করপাড়া, নলগোড়া, মোল্লাকান্দা, বকচর, চারাখালী, রায়পুর, শোলানগর, আলগীচর, নাওপাড়া, ১২১নং হরিষকুল, বক্সনগর, পাজ্ঞিপহরী, কামারখোলা, জালালচর ময়মন্দি এবং শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৫৭নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৫০জন। প্রধান শিক্ষকসহ পদ রয়েছে ৮টি। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।
৪৮নং মৌলভীডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ৩০০জন শিক্ষার্থী রয়েছে তার বিদ্যালয়ে। শিক্ষকের পদ রয়েছে ৭টি। তবে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ৬জন শিক্ষক দিয়ে কার্যকম চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
অভিভাবক মো. বাবু বলেন, আমার মেয়ে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, যে সব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সেখানে সহকারী শিক্ষকই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে খুব শীঘ্রই বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।