বিশ্বকাপ থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে বাংলাদেশ। স্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০)। এরপর ভারতের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়। আত্ববিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশের সামনে এবার দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধেও ভালো করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগামী ৩০ জুন ঢাকায় আসার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশ সফরে দুটি টি২০, তিনটি ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভিলিয়ার্স শিবির।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ধোনির দলের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচ জিতে ওয়ানডে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল মাশরাফি বাহিনী। স্বাগতিক অধিনায়কের খুব ইচ্ছে ছিল শেষ ম্যাচটিকে আরও রঙ্গীন করে তুলতে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ব্যাক্তিগত ভাবে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
তাই বলে ভারতের কাছে শেষ ম্যাচে হেরে গেলেও আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন মাশরাফি। বরং ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের হতাশা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভালো করতে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে মাশরাফিকে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আমরা আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছি। ইচ্ছে ছিল শেষ ম্যাচটিও জিতব। কিন্তু সেটা আর হয়নি। বরং একদিক থেকে ভালোই হয়েছে তৃতীয় ম্যাচের ভুল-ভ্রান্তিগুলো আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হয়তো আর করতে চাইব না। ভারতের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা ঠিকই ছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে আমাদের ব্যাটসম্যানরা কেউই সেভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। সামনে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে হয়তো আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করবে না’।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা অভিষিক্ত মুস্তাফিজুর রহমানের স্বপ্নের মতো কেটেছে। সেই সঙ্গে সৌম্য, সাব্বির ও লিটনের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মাতো। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন মুস্তাফিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও মুস্তাফিজ আরও ভালো করতে পারে বলে মনে করছেন মাশরাফি।
এ বিষয়ে টাইগার দলপতি বলেন ,‘মুস্তাফিজ যেটা করেছে সেটা বিস্ময়কর। বিশ্বসেরার মত পারফরম্যান্স। ওটার সঙ্গে অন্যকিছু তুলনা করা যাবে না। আমি ১৪/১৫ বছর ধরে খেলছি। অনেক খেলোয়াড় দেখেছি , যারা এসেছে আবার চলেও গেছে। তবে ওর (মুস্তফিজ) ভেতরে খুব ভালো জিনিস দেখলাম। থাকতে থাকতে চোখে পড়ে অনেক কিছু।’
মুস্তাফিজের প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন, ‘বোলিংয়ের পর ওকে দেখেছি জিম করতে। আমি যখন জিমে যাই দেখি একা একা জিম করছে। এটা কিন্তু ইতিবাচক দিক। বিশেষ করে ওর বয়স মাত্র ১৯। এখন থেকেই শিখছে, নিজের যত্ন কিভাবে নিতে হবে, কিভাবে আরও লম্বা সময় দেশকে সার্ভিস দেয়া যায়। তবে আমার বিশ্বাস ও বাংলাদেশের পক্ষে সব সময় এমনই খেলবে। ও যদি নিজেকে যত্ন করে তাহলে আরও ১০-১৫ বছর জাতীয় দলে খেলতে পারবে।’