একটি দেশের উন্নয়নের পরিচয় সে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে রাস্তায় দিনকে দিন গাড়ি বাড়ছে, বাড়ছে যানজট। এখন সময় এসেছে এগুলো কন্ট্রোল করার। আমাদের সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নিরালসভাবে কাজ করতে হবে। ট্রাফিক আইন কিভাবে মানতে হয় তা পাঠ্য বইয়ে থাকা উচিত। যাতে শিক্ষার্থীরা ছোট থেকে ট্রাফিক আইন শিখতে পারে।
শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এ সব কথা বলেন।
ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘ট্রাফিক গাইড বুক’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ম. তামিম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল, চিত্রনায়ক ফারুক আহমেদ, জায়েদ খান, রিয়াজ, অভিনেতা আহমেদ শরীফ, নাদের চৌধুরী, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার সরোয়ার মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রিন্সিপ্যাল বনমালী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাজের প্রভাবশালী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আইন না মানলে সাধারণ মানুষকে আইন মানানো সম্ভব নয়। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পাশাপাশি যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশের কোন সদস্য যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তাহলে তাকেও এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। সামনে দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পর আমরা রোভার স্কাউট, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবারো ১৫ থেকে এক মাসব্যাপী ট্রাফিক সচেতনামূলক কর্মসূচির আয়োজন করব।
ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশের পরপরই আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ট্রাফিক সচেতনতামূলক র্যালি হয়। র্যালি শেষে পরিবহণ যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।