মনে করা হয়, ছত্রাকের কারণে খুশকি হয়। বরং মাথার ত্বকে অবস্থারত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার কারণেই খুশকি হয়ে থাকে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়। এই ব্যাকটেরিয়া দুটোর নাম প্রোপিয়োনিব্যাকটেরিয়াম ও স্ট্যাফাইলোককাস। এদের মিলিত কার্যক্রম চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিন্তু ভারসাম্যহীন হলেই খুশকি। চীন ও জাপানের যৌথ বিজ্ঞানীদের একটি দল সংশ্লিষ্ট গবেষণা পরিচালনা করেন। তারা জানান, এই ব্যাকটেরিয়ার একটি দল অপরটির ওপর নিয়্ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেই দুই কাঁধে সাদা গুঁড়োর মতো খুশকি ঝরতে থাকে। মাথার ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা খুশকি। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। নেচার গ্রুপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খুশকিতে পাওয়া একটি উপাদান ছত্রাক। এর কারণেই খুশকি হয় বলে মনে করা হতো। কিন্তু শাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটির ঝ্যাং মেনগুই মাথার ত্বকের বাস্তুসংস্থান পর্যবেক্ষণ করতে এখানকার বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করেন। ৫৯ জন মানুষের মাথার ত্বক পরীক্ষা করা হয়। এদের সবার বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে। ত্বকের পানি, কয়েক ডজন ব্যাকটেরিয়া, সিবাম এবং তৈলাক্ত উপাদান পাওয়া যায়। এতে আছে ছত্রাক যার নাম মালাসেজিয়া। এদের চুল ৪৮ ঘণ্টা আগে ধোয়া হয়। ত্বকের বিভিন্ন অংশ থেকে খুশকির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গবেষকরা বলেন, খুশকি পরীক্ষা করে দেখা গেছে এদের সৃষ্টিতে ছত্রাক কোনো ভূমিকা রাখে না। কিন্তু খুশকি সৃষ্টিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা বেশ শক্তিশালী। এরা একে অপরের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গেলেই সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি সৃষ্টি করে। কাজেই মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই খুশকি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস