প্রাচীনকাল থেকেইে চলে আসছে গহনা বা অলঙ্কারের প্রচলন। আদিম যুগে নারী-পুরুষ সবাই অলঙ্কার পরতো। তখন অবশ্য সোনা, রূপা, মনি-মুক্তার প্রচলন ছিলো না। অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হতো ফুল, লতা-পাতা, গাছের ছাল-বাকল, শেকড়, জন্তু-জানোয়ারের হাড়, শিং, পাখির পালক ইত্যাদি।
অবশ্য অলঙ্কার হিসেবে ফুলের কদর এখনও কমে নি। বিয়ে বাড়িতে হলুদের অনুষ্ঠানে এখনও ব্যবহৃত হয় ফুলের গহনা। আর র্বতমানে অলঙ্কার হিসেবে এসেছে সোনা, রূপা, হীরা, মুক্তা রত্নরাজি। তবে এখন এইসব দামী রত্নরাজি গহনার চেয়ে ইমিটেশনের হালকা গহনায় বেশি জনপ্রিয়।
গয়না সবসময় পরিষ্কার ও শুকনা রাখা প্রয়োজন। গলার হার, আংটি, কানের দুল বা যে কোনো গয়না ক্রিম, লোশন বা সুগন্ধির সংস্পর্শের বাইরে রাখতে হবে। তাই গয়না পরার আগে প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
গয়না সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। গয়নার হুকগুলো আটকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। একটা গয়না যেন অন্যটির সঙ্গে আটকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘুমানোর আগে অবশ্যই গয়না খুলে রাখা উচিত। কারণ গয়না পরে থাকলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে।
বেশিরভাগ গয়না রাখার বক্সের ভেতরের অংশে ভেলভেটের কাপড় দেওয়া থাকে। তবে এই কাপড় গয়নার উজ্জ্বলভাব নষ্ট করে। তাই এই ধরনের বক্স এড়িয়ে চলা ভালো। গয়না সুতির কাপড়ে জড়ানো বক্সে রাখা যেতে পারে।
গয়না খোলার পর পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে আলাদা মুখ বন্ধ ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।
এমন জায়গায় গয়না সংরক্ষণ করুন তা যেন সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে না থাকে। অন্ধকার এবং ঠাণ্ডা জায়গায় গয়না সংরক্ষণ করতে হবে।