ঈদের আনন্দ নেই উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত পরিবারগুলোতে। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তারা ব্যস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেতে আবারও চারা রোপনে। কুরবানী বা নতুন জামা দূরের কথা, অনেকের ঘরে খাবারের ব্যবস্থাই নেই।
চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার বলিরেখা রহিমা বেওয়ার। বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে সন্তানদের সাথে ঠাঁই হয়েছে বুমকা ওয়াপদা বাঁধে। পঁচাত্তর বছর বয়সে এতোটা নিরানন্দের ঈদ আসেনি তার জীবনে।
শুধু রহিমা বেওয়াই নন। এবারের ঈদ কোনো আনন্দ নিয়ে আসেনি লালমণিরহাটের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে। ঘরবাড়ি, ক্ষেতের ফসল হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা।
বন্যার পানি নেমে গেছে। বাড়িঘরে রেখে গেছে দগদগে ক্ষত। বিরান ফসলের মাঠ।
এই দৃশ্য গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পোড়ারচর গ্রামের। চারপাশে তিস্তা নদী। মাঝখানে গ্রাম। এখানে বাস করে ৩ শতাধিক পরিবার। দুই দফা দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আবাদী জমি ও ঘরবাড়ির। পানি নেমে যাওয়ার পর ঘরবাড়ি মেরামত ও জমিতে চারা রোপনে ব্যস্ত তারা। তাই ঈদের আনন্দ তাদের কাছে ফিঁকে হয়ে গেছে।
একই চিত্র দিনাজপুরের বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতেও। বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে বাড়ি-ঘর হারিয়ে দিশেহারা মানুষ। এখনো অনেকের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে। তাই ঈদ উৎসব ভুলে গেছেন তারা।
ঈদের আমেজ নেই রাজবাড়ীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতেও। দীর্ঘদিন পানি থাকায় বানবাসীদের ছিলো না কোনো কাজকর্ম। আয়-রোজগারের অভাবে অনেক কষ্টে কাটছে তাদের দিন।
সরকারের পাশাপাশি সামর্থবানরাও সহায়তার হাত বাড়াবেন, এমনটাই প্রত্যাশা এসব বানভাসী মানুষের।