ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে একটা বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করা হয়েছে। এর বেশ প্রভাব পড়েছে ইউরোপেও। আর সে মনোভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে এবং ইসলামের সুন্দর দিকগুলো তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানীর মুসলিম সম্প্রদায়।
প্রতিবছর একটি দিন জার্মানির মসজিদগুলোর দুয়ার খুলে দেয়া হয় সব ধর্ম-বিশ্বাসের মানুষের জন্য। বুধবার ছিল সে দিনটি।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে প্রকাশ, বুধবার জার্মানির মসজিদগুলো পরিদর্শন করেছেন বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের লোকজন। প্রতিবছর এ দিনটিতে তাদের সাথে সংলাপের আয়োজন করা হয় যাতে ইসলাম সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণাগুলো দূর করা যায়।
‘এ দিনটি এক লাখেরও বেশি দর্শণার্থীদের ইসলাম সম্পর্কে জানতে এবং মুসলমানদের সাথে আলোচনার সুযোগ করে দেয়’, এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন জার্মানির মুসলিম কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের (কেআরএম) মুখপাত্র বুরহান কেসিসি।
জার্মানির প্রায় ৯০০ মসজিদ ‘উন্মুক্ত মসজিদ দিবসে’ অংশ নেয়।
দেশটির বিখ্যাত স্থান কলংয়ে অবস্থিত কলং কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিদর্শনে আসেন হাজারো দর্শণার্থী। এ মসজিদটি পরিচালিত হয় টার্কিস-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রেলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স (ডিআইটিআইবি) দ্বারা।
ইউনিয়নটির সভাপতি নেভজাত ইয়াসার আসিকগ্লু বলছিলেন, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডিআইটিআইবি দর্শণার্থীদের কাছে শান্তি ও সৌহার্দের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। এবং সংলাপের এ উদ্যোগ চলমান থাকবে।
নর্থ রিন-ওয়েস্টফেলিয়ার একীভূতবিষয়ক মন্ত্রী জোচিম স্টাম্পও বুধবার মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন।
কর্মসূচিটি চলাকালে ইমামগণ ইসলামী বিশ্বাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এবং দর্শণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আট কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মুসলমানরা। পশ্চিম ইউরোপ ও ফ্রান্সের পরই এ অবস্থান।
আবার দেশটির ৪.৭ মিলিয়ন মুসলিম জনসংখ্যার তিন মিলিয়নই তুর্কি বংশোদ্ভুত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে উগ্র ডানপন্থী ও পপুলিস্ট দলগুলো দ্বারা ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অভিবাসীরা বিভিন্ন প্রোপাগান্ডার শিকার হচ্ছেন।