অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেই ইতালিতে রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। চার বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির পর মারিও মন্তি, এনরিকো লেত্তা, মাত্তেও রেন্সি এবং সর্বশেষ পাওলো জেনতিলিনিনিসহ চারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে দেশটিতে। তবে তাদের একজনও নির্বাচিত ছিলেন না। স্বাধীনতার ৭৩ বছরে এর আগে কখনও ইতালি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।
দেশটিতে এবার একসঙ্গে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচন। ইতালির পার্লামেন্ট উচ্চ ও নিম্নকক্ষ- এ দুই ভাগে বিভক্ত। নিম্নকক্ষের আসন ৬৩০টি এবং উচ্চকক্ষের আসন ৩১৫টি। ১৮ থেকে অনূর্ধ্ব ২৫ বছর বয়সীরা জাতীয় নির্বাচনে শুধু নিম্নকক্ষের জন্য ভোট দিতে পারবেন। আর ২৫ ঊর্ধ্বরা উচ্চকক্ষের জন্য ভোট দিতে পারবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বের্লুসকনির দল ফরজা ইতালিয়া এবং মধ্যবামপন্থী আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেন্সির পারতিতো ডেমোক্রেসির (পিডি) জনসমর্থন রয়েছে মাঠপর্যায়ে। অন্যদিকে বেপে গিরিল্লোর ফাইভ স্টার মুভমেন্ট দলের হয়ে লড়বেন লুইজি দি মাইও। নতুন এ দলটি এককভাবে জনসমর্থনে এগিয়ে আছে। বেপে গিরিল্লো ইতালিয়ানদের সুযোগ-সুবিধা, স্বার্থ দেখার এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আত্মপ্রকাশের এক বছরের মধ্যে ইতালিয়ানদের কাছে রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট।
এ নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালির নাগরিক সৈয়দ কামরুল সারোয়ার বলেন, ইতালির জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের জন্য একটি ভাগ্য পরীক্ষা। কারণ ডানপন্থী দলগুলো কখনোই অভিবাসীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে না। যতটুকু পারে তাড়ানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ডানপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বের্লুসকনি ঘোষণা দিয়েছেন, তার দল ফরজা ইতালিয়া ক্ষমতায় এলে ৬ লাখ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে এবং বেকার নারী ও গৃহিণীদের এক হাজার ইউরো দিয়ে সহযোগিতা করবেন। তাই বামপন্থী দলগুলোকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কামরুল সারোয়ার। কারণ বামপন্থী দলগুলো অভিবাসীদের সুখে-দুঃখে কাজ করে।