ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর আস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার স্থানীয় সময় ৭টায় এই প্রস্তাবের ওপর ভোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই ভোটাভুটির ফলে যুক্তরাজ্যকে আগাম নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মঙ্গলবারের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে সদস্যদের ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের ব্যবধানে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি। থেরেসা মে’র চুক্তির বিপক্ষে ৪৩২ জন এমপি ভোট দিয়েছেন এবং পক্ষে পড়েছে ২০২ ভোট। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারলেন থেরেসা মে।
এর পরই বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন থেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। করবিন বলেন, এই আস্থা ভোটের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নির্ভেজাল অযোগ্যতার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সুযোগ পাবে পার্লামেন্ট।
অন্যদিকে পরাজয়ের পর থেরেসা মে বলেন, ‘পার্লামেন্ট তার কথা বলেছে এবং তার সরকার শুনেছে’।
এসময় মে আস্থা ভোটে তার সরকার টিকে গেলে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে আন্তঃদলীয় আলোচনার প্রস্তাব দেন।
থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়িত হলে আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। কিন্তু এই পরাজয়ের ফলে এ নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।