টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে হারল টাইগাররা। বিশ্বকাপের সুপার টেনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতে ভারতের বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে টাইগাররা। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার উসমান খাজা এবং শেন ওয়াটসন দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি। এতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। শুভাগত হোমের বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান শেন ওয়াটসন। ১৫ বলে ২১ রান করেন তিনি। ইনিংসের ১২তম ওভারে অজি দলপতি স্টিভেন স্মিথকে (১৪) সরাসরি বোল্ড করেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। টাইগারদের অন্যতম বোলিং ভরসা আল আমিন হোসেন অনেকটা বোকা বানিয়ে ফেরান অজি ওপেনার উসমান খাজাকে। তিনি ৪৫ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৭) ফিরিয়ে টাইগারদের খেলায় ফেরান সাকিব আল হাসান। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের দারুণ এক স্লোয়ারে সাকিবের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন মিচেল মার্শ (৬)। তবে টাইগারদের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অবশ্য ১৮তম ওভারে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন ম্যাক্সওয়েল (২৬)। মুশফিকের কাছে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। একই ওভারে হ্যাস্টিংসকেও (৩) ফেরান সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই পুরো পয়েন্ট তুলে নেয় স্মিথরা। টাইগারদের হয়ে সাবিক ৩টি, মুস্তাফিজ ২টি ও আল আমিন ১টি উইকেট পান। এর আগে বর্তমান সময়ে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়াই মাঠে নামে টাইগাররা। তামিমহীন এই ম্যাচে সৌম্যের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। বড় সংগ্রহ গড়তে পাওয়ার প্লের ওভারগুলো কাজে লাগানো তো দূরে থাক, ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে খুব দ্রুতই ফেরেন সৌম্য। সাজঘরে ফেরার সময় তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১ রান। সৌম্য ফেরার পর মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান মাঠে নামেন। কিছুটা আশার সঞ্চার হয় টাইগার ভক্তদের হৃদয়ে। দুর্দান্ত শট খেলে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে ১৭ বলে ১২ রান করে তাকেও ফিরতে হয়। সাকিব আল হাসান ও ওপেনার মিঠুন দলকে ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে বেরসিক অ্যাডাম জাম্পা ফেরান মিঠুনকে। ২২ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান তিনি। মিঠুনের পর মাঠে নেমে শুভাগত হোম চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর। ছয়, চার মেরে রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা চালান হোম। তবে জাম্পার বলেই এলবিডব্লিুর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান তিনি। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ১৩ রান। দ্রুত উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন সাকিব। রানের চাকা সচল রাখতে ২৫ বলে গড়েন ৩৩ রানের ইনিংস। তবে আবারও আঘাত হানে জাম্পা। ফেরান সাকিবকে। তবে আবারও নিজের জাত চেনান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য কাজ করেন তিনি। তার মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬ রান। তবে ১ রানের আক্ষেপ থেকে যায় মাহমুুদুল্লাহর। ২৯ বল খেলে অপরাজিত থেকে ৪৯ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মুশফিক করেন ১১ বলে ১৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অ্যডাম জাম্পা। আর শেন ওয়াটসন নেন ২ উইকেট।