আত্মবিশ্বাসের পারদটা তো অনেক উপরেই ওঠার কথা। বিশ্বকাপ থেকেই যেটা নিয়মিত সঙ্গী। পাকিস্তানকে যেটার পুঁজিতে বিধ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়েই ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ৭৯ রানের অসাধারণ এক জয় উপহার দিল মাশরাফিরা। এবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্য। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। তার আগে আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেন, ‘সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।’

ভারতকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বীকার করতে দোষ নেই। স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ কোচ হাথুরুসিংহেও। তিনি বললেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচেও নিশ্চয় ভারত ফেভারিট। তবে নিজেদের ওপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, দ্বিতীয় ম্যাচেও জিততে পারবো এবং এই ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চাই আমরা।’

প্রথম ম্যাচে চারজন স্পেশালিস্ট পেসার নিয়ে চমকে দিয়েছিলো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। যার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এ কারণে তাকে প্রশ্ন করা হয়, চার পেসার দিয়ে দল সাজানোর কারণ সম্পর্কে। কোচ জানালেন, এটার কোন বিশেষত্ব নেই। প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা চিন্তা করেই আমরা দল সাজিয়ে থাকি। সে কারণেই মূলত চার পেসার নিয়ে আমরা দল সাজিয়েছি।

তবে আমরা খুবই সুখী যে বেশ সম্ভাবনাময়ী তরুণ  পেসার পেয়ে গেছি। বিশ্বকাপেও তিন পেসার নিয়ে খেলেছি আমরা। তখনও আমরা পেসারদের কাছ থেকে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছি। এর কৃতিত্ব আসলে পাওয়া উচিৎ স্ট্রেঙ্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ, পেস বোলিং কোচ এবং ফিজিওর।

হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় এক বছর হতে চলল। এই এক বছরে বাংলাদেশ দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। সময়টার মূল্যায়ন করতে গিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, দেখুন এই সময়ে চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ দলকে একটা অবস্থানে এনে দাঁড় করাতে। দলের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন, যে করলে ভালো হয় সেটাই করার চেষ্টা করে গেছি।

ভারতীয় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, উইকেটের অবস্থা কেমন দেখলেন এবং বাংলাদেশ কী দ্বিতীয় ম্যাচেও চার পেসার নিয়ে খেলতে নামছে? জবাবে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সেটা তো কন্ডিশন দেখেই সিদ্ধান্ত নেবো। আর উইকেট কেমন হবে সেটা এখনই কিভাবে বলবো। কিছু কথা তো গোপন রাখতেই হয়। ঠিক সেভাবে দল কিভাবে তৈরী করবো তাও তো বলা সম্ভব না। সময়ই সব বলে দেবে। আপাতত আমরা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে। এই ম্যাচে কিভাবে ভালো করা যায় সেটাই চিন্তা করছি আমরা।