১২ মিনিটে দুর্দান্ত গতিতে আগাচ্ছিলেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। ডান দিকে থেকে নেয়া তার মাটি ঘেঁষা শট আনন্দে ভাসাতেও পারত স্বাগতিকদের। তবে তা হতে দেয়নি সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক আব্দুল্লাহ সানি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদমুক্ত করেন তিনি।
এরপর চলেছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। ৩১ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরকে ম্যাচে ফেরানোর নায়ক নওয়াজ। বক্সের মধ্যে প্রথম দফায় তার নেয়া হেড প্রতিহত করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম। পরে বল পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে ডান পায়ের জোড়ালো শটে গোল করেন সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড নওয়াজ। ম্যাচে সমতা আসে ১-১ গোলে।
তবে ৪৩ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পারত বাংলাদেশ। বা প্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন সোহেল রানা। সামনে শুধু গোলরক্ষক। কিন্তু দুরুহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি। তার নেয়া শট চলে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক শুরু থেকে খুব একটা চমক দেখাতে পারেননি। তার উল্লেখযোগ্য শট প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। ডান প্রান্ত থেকে হাওয়া ভাসানো শট গোলও হতে পারত। তবে সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক লাফ দিয়ে তা তালুবন্দী করে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভাগ্যদেবী সহায় হলে গোল পেতেও পারত বাংলাদেশ। ৪৯ মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে বল ক্লিয়ার করতে শট নেয় সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডার। তবে সেটা উঠে যায় গোলরক্ষকের মাথার অনেক উপরে। সেই বল তালুবন্দী করতে পারেননি আব্দুল্লাহ সানি। অল্পের জন্য গোলও হয়নি। কর্ণার পায় বাংলাদেশ।
সেই কর্ণারেও গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। মামুনুলের নেয়া কর্নার কিকে হেড নিয়েছিলেন ইয়াসিন। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।
৬৩ মিনিটে ঝলক দেখানোর চেষ্টায় ছিলেন এনামুল হক। মাঝ মাঠ থেকে দ্রুত গতিতে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের বক্সে। তার বাড়ানো বলে শট নিয়েছিলেন হেমন্ত, তবে তা মাটিতে শুয়ে পায়ের সাহায্যে বিপদমুক্ত করেন সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক।
এরপর একটু বেশীই আগ্রাসী ছিল বাংলাদেশ। মুহুর্মুহ আক্রমণে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগকে নাড়িয়ে দেয় এনামুল-এমিলিরা। এর মধ্যে বেশকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ।
এরই খেসারত ৭২ মিনিটে দেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে বাংলাদেশের জাল কাপান সিঙ্গাপুরের এম কামাল। ২-১ গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ।
শেষ অবধি আর গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ফলে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রুইফ শিবির।
হারলেও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। এমনটি ভাবছে সবাই।আগামী দুই জুন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর শুরু হবে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের মিশন। ১১ ও ১৬ জুন বাংলাদেশ খেলবে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে।