পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

0
421
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন পর্তুগালে শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সাপ্তাহিক স্বাভাবিক কর্মঘণ্টায় দূতাবাস কার্যক্রম খোলা থাকায় কনস্যুলার সেবা নিতে আসা অনেক বাংলাদেশিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দীকীর সভাপতিত্বে এবং দূতালয় প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের সহকারী কনস্যুলার কর্মকর্তা মো. নুর উদ্দিন। পরে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‌‘বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করতে ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বেছে বেছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারা ধারণা করেছিলো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলে এদেশ পিছিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়েনি বরং সবদিক থেকেই পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছে। এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও উন্নয়নে বাংলাদেশকে উদহারণ হিসেবে নেন।’

বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাঈম হাসান পাভেল এবং মো. নাঈম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের সহকারী কনস্যুলার কর্মকর্তা মো. নুর উদ্দিন।