না বাংলাদেশের সাথে হারার জন্য নয়। ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে আইপিএলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে। মূলত এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংস এবং আইপিএলের আরেক দল রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে আইপিএলের ষষ্ঠ আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য কোর্টে অভিযোগ করা হয়। সেই ফিক্সিং তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত লোঢা কমিশন তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে মঙ্গলবার। কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা শনিবার একথা জানান।
তবে শোনা যাচ্ছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ যদি প্রমানিত হয় তাহলে ক্লাবটির অধিনায়ক মাহিন্দ্র সিং ধোনিও জড়িয়ে যেতে পারে। ওই তদন্ত রিপোর্টে যদি ধোনির নাম থাকে, তাহলে ধোনির শাস্তি হতে পারে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে ধোনির যদি শাস্তি হয়, তাহলে ধোনি হয়তো অবসরই নিয়ে নিবেন বরে ধারণা করছেন ক্রিকেট বিশ্লষকরা। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে আগামীকালকের ওই তদন্ত প্রতিবেদনের উপর।
এই মামলার প্রধান আবেদনকারী বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মা বলেন, ‘কমিশন মঙ্গলবার দুপুরে চেন্নাই ও রাজস্থানের কর্তা গুরুনাথ মিয়াপ্পন ও রাজ কুন্দ্রার শাস্তি ঘোষণা করবে নয়াদিল্লিতে। আমাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’ দুই অভিযুক্ত কর্তার শাস্তি ঘোষণার পর তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ।
আইসিসি চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসনের জামাই মিয়াপ্পন ও বলি তারকা শিল্পা শেঠীর স্বামী কুন্দ্রার বিরুদ্ধে আইপিএল ছ’য়ে বেটিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে শীর্ষ আদালতে৷ তবে তখনই তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি৷ বরং ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোঢা, অশোক ভান ও আর রবীন্দ্রনকে তাঁদের শাস্তির মাত্রা নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিককে গত মার্চে শো কজ নোটিসও পাঠায় কমিশন। গত মাসে কমিশন কলকাতায় এসে বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সিএবি কর্তা ও বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে যায়।