নাশকতার তিন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার পল্টন থানার তিন মামলায় ফখরুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে।
এই বিএনপি নেতার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, “এ নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে থাকা সাতটি মামলাতেই আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে। এখন তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।”
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন। এ সময় আবেদনকারীর পক্ষে ব্যরিস্টার রফিক-উল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী, রাগীব রউফ চৌধুরী ও সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ।
ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
দশম জাতীয় সংসদের বর্ষপূতির দিনে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরদিন ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি বাসে আগুন দিয়ে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগে পল্টন থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ৬ জানুয়ারি বাসে আগুন ও মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানায় আরও দুটি মামলায় হয়।
এ তিন মামলায় হাকিম ও জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে গত ১৪ জুন হাই কোর্টে আবেদন করেন ফখরুলের আইনজীবীরা। রোববার শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন ফখরুলকে কাশিমপুর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।