বিএনপি নেতারা বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল। ভোটের জন্য হেফাজতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টায় সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তবে তারা এতে লাভবান হবে না।
সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দলটির নেতারা এ কথা বলেন।
তারা আগামী নির্বাচনকে অংশহণমূলক ও অর্থবহ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিএনপির এ আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, মহানগর নেতা মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, শ্রমিকদল সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। তবে সেটি হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, অর্থবহ নির্বাচন এবং যে নির্বাচনে ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। এ জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে দরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার।
নৌকা প্রতীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট চাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) নৌকায় ভোট চাইছেন। অথচ বিএনপিকে একটি মিটিং, সভা-সমাবেশ করতে দেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের বলব- আপনারা নির্বাচন করবেন, আর আমরা আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখব, সে ধরনের নির্বাচন দেশে হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর মূল প্রেরণা এসেছে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা থেকে। আমরা এখন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই করছি। আশা করি, এতে আমরা সফল হব।
সরকার উন্নয়নের ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে তিনি বলেন, বিএনপি শিগগিরই এ বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। কিন্তু তারা তা বিশ্বাস করে না। ভোট পাওয়ার জন্য এখন আওয়ামী লীগ হেফাজত ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছেন। এতে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, অতীতে তারা খেলাফত মজলিসের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করেছিল। ওই পাঁচ দফা চুক্তির মধ্যে ফতোয়াও ছিল। ভোট পাওয়ার জন্য যে বন্ধুত্ব বা নাটক করছে এতে প্রমাণিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই আওয়ামী লীগ সরকার শেষ সরকার।