বুধবার নিজের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের কাছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল না এতদিন। ফরেনসিক রিপোর্ট ছিল না। আমরা সম্প্রতি ফরেনসিক রিপোর্ট পেয়েছি। এখন মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে কূটনীতিক পাড়া গুলিশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।

ওই ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, হত্যাকাণ্ড ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তিনটি মামলা করে পুলিশ।এরপর গত এক বছরে আদালতের কাছ থেকে আটবার সময় নিয়েও পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি।

ওই হামলার বর্ষপূর্তির সময় তদন্তকারীরা বলেছিলেন, কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেপ্তার না হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার তদন্ত আটকে আছে।

এরপর গত ৮ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোহেল মাহফুজকে গ্রেপ্তারের পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেন, সোহেলই গুলশান হামলার গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন।

 

এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পাশের দেশ ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সোহেল মাহফুজের ভূমিকা নিয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তদন্তাধীন বিষয়ে এখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়।