আড়াই মাস ধরে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখলেও গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের হজযাত্রীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান। তবে রিয়াদের এ সিদ্ধান্তের মধ্যেও রাজনীতি আছে বলে মন্তব্য করেছে কাতার।
কাতারের হজ গমনেচ্ছুদের জন্য গতকাল সৌদি-কাতার সালওয়া সীমান্ত উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, ‘হজ পালনের জন্য কাতারিদের সালওয়া সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি রাজ্যে প্রবেশ এবং ইলেকট্রনিক অনুমোদনবিহীন যেসব কাতারি নাগরিক হজে যেতে চায়, তাদের সবার প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। ’ এসপিএ আরো জানায়, কাতারের সব হজ পালনেচ্ছুকে মক্কায় আনতে সৌদি আরবের বেসরকারি মালিকানাধীন বিমানগুলো দোহায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান এবং এ সংক্রান্ত সব খরচ তিনি বহন করবেন।
সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রাহমান আল থানি। গতকাল সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থানকালে সেখানে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাতারি অথবা কাতারে বসবাসরতদের হজযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
রিয়াদের এ ঘোষণার আগের দিন বুধবার কাতারের দূত শেখ আব্দুল্লাহ বিন আলী বিন আব্দুল্লাহ বিন জসিম আল থানিকে সৌদি আরবে বরণ করে নেন স্বয়ং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জেদ্দায় তাঁদের বৈঠক হয়। তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি জানিয়েছেন, কাতার সরকারের পক্ষে নয়, ব্যক্তিগত সফরে সৌদি আরবে গেছেন জসিম আল থানি। এদিকে এসপিএ জানিয়েছে, এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের।