হজযাত্রা শুরুর পর এক সপ্তাহে ১২টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বিমানকে; কারণ যাত্রী মিলছে না। ২ অগাস্ট পর্যন্ত বাতিল এই ফ্লাইটগুলোতে ৪ হাজারের বেশি যাত্রী যেতে পারতেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, “ভিসা সমস্যার কারণেই মূলত যাত্রী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এজন্য ২ অগাস্ট পর্যন্ত আমাদের ১২টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।”
ভিসা সমস্যাটি কী- জানতে হজ এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ২০১৫-১৬ সালে যারা হজ পালন করে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল দিতে বলেছে সৌদি আরব, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই জটিলতা।
“যারা সেই টাকা পরিশোধ করে তার রশিদ জমা করছেন না, তাদের ভিসা দিচ্ছে না সৌদি দূতাবাস,” বলেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন তসলিম।
বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ২৮ হাজার জন; তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার জনের মতো ব্যক্তিকে পুনরায় হজ করতে যাওয়ায় ২ হাজার রিয়াল (৪৪ হাজার টাকা) দিতে হবে। কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে আরও অনেকের উপর।
হাব সাধারণ সম্পাদক তসলিম বলেন, “এক পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে যখন হজে যেতে চাইছেন, তখন একজনের জটিলতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত অন্যরা যেতে চাইছেন না।”
ভিসার জন্য বাড়তি এই অর্থ হজ এজেন্সিগুলো দিতে চাইছে না; ফলে হজযাত্রীদের সঙ্গে তাদের এটা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।