সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন তিনি।এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করা হয়।

এ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সমাবেশ হবে তাদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। কোনো রাজনৈতিক সমাবেশও নয়।

সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তত্কালীন রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

 

বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। এ স্বীকৃতির উদযাপনেই আজ নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে স্বাধীনতার উদ্যান  সোহরাওয়ার্দীতে, যেখানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে লেখা হয়েছিল বাঙালির মুক্তির দলিল।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আর সঞ্চালনায় রয়েছেন রামেন্দু মজুমদার ও ডা. নুজহাত চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেবেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশে ইউনেসকোর প্রতিনিধি ও প্রধান বিয়েট্রিস খলদুন।