সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে ড. ইউনূস গিয়েছেন বার্সেলোনায়। এই ফাঁকে মঙ্গলবার তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনায়।
এ সময় তার নাম লেখা ক্লাবটির একটি বিশেষ জার্সি পরেন তিনি। ড. ইউনূস তাদের জানান, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের এ ক্লাবটিকে কী করে বাংলাদেশের মানুষ কতটা ভালবাসে। খবর বার্সেলোনা ডটকমের।
বার্সেলোনার অফিসিয়াল সাইটে ঢুকলে এ মুহূর্তে প্রধান খবর হিসেবে লিওনেল মেসিকে পাবেন না। নেইমার কিংবা লুইস সুয়ারেজও নয়। সেখানে এখন আছেন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ২০০৬ সালের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউনূস স্বীকার করেছেন, বার্সার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের নাম তিনি জানেন না। তবে এই ক্লাবটিকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আবেগের কথা, মেসি-নেইমারদের প্রতি ভালোবাসার কথা ঠিকই জানেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে তো প্রায় সবাই-ই বার্সার ভক্ত। এ ক্লাব আর ক্লাবের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে প্রায় সবকিছুই তারা জানেন। এই ক্লাবকে ঘিরে মানুষের যে আবেগ, সেটা কিন্তু বিস্ময়কর।
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জেতা ক্ষুদ্রঋণের জনককে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বার্সার সহসভাপতি জর্ডি কার্দোনার। ক্লাব পরিচালক ডি ডাক লি এবং এফসি বার্সেলোনা ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক র্যামন গারিগা।
ইউনূসকে তারা অভিনন্দন জানান তার অবদানের জন্য।
কার্দোনার বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের মতো একজন মানুষকে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি, যিনি মানবতা ও সমাজের প্রয়োজনে এত কিছু করেছেন।
আমাদের মতো ক্লাবের ব্যাপারে তিনি যে আগ্রহ দেখিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের। একজন নোবেলজয়ী আমাদের ক্লাবের দর্শন ‘ক্লাবের চেয়ে বড় কিছু’কে তুলে ধরছেন, এটাও অনেক বড় ব্যাপার।