সাত দেশের শতাধিক শিল্পীর গানে মেতে ওঠার প্রতীক্ষায় আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উত্সব। গত বছর প্রথম আয়োজনেই দর্শকের ঢল নেমেছিল আর্মি স্টেডিয়ামে। আয়োজকদের প্রত্যাশা ছিল এবারও সেই আগ্রহ দেখাবেন দর্শকরা। সে আশা মিথ্যা হয়নি। রেজিস্ট্রেশন শুরুর পর সাতদিনের মাথায় রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় বারের মত সান ইভেন্টস আয়োজন করছে তিন দিনব্যাপী এ উত্সব। মিরপুরে আর্মি স্টেডিয়ামে ১০ থেকে ১২ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দর্শকরা উপভোগ করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সেরা লোকসঙ্গীত শিল্পীদের পরিবেশনায় শেকড় সন্ধানী গানগুলো। এবার বাংলাদেশসহ সাতটি দেশ ভারত, তুরস্ক, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার শিল্পীরা পরিবেশন করবেন তাদের গান। দেশ ও বিদেশের ১২৫ জনেরও বেশি শিল্পী এই উত্সবে অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বিদেশি শিল্পীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন কৈলাস খের, নুরান সিস্টার্স, জাভেদ বশির, পবন দাস বাউল, কারেন লুগো এন্ড রিকার্ডো মোরো, সুশীলা রহমান এন্ড স্যাম মিলস, ইন্ডিয়ান ওশেন, প্রসাদ, রাজু দাস বাউলসহ আরো অনেকে। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মমতাজ বেগম, বারী সিদ্দিকী, ইসলাম উদ্দিন কিস্সাকার, আব্দুর রহমান বাউল, বাউল শফি মন্ডল, সুনীল কর্মকার, টুন টুন বাউল, লতিফ সরকার, ফরিদা ইয়াসমিন, বাঁশীবাদক জালালসহ আরো অনেকে।
নিরাপত্তার স্বার্থে এবারের আয়োজনের নিরাপত্তা বেশ কড়া। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিদিন ভেন্যুতে প্রবেশের সময় ই-টিকেট দেখাতে হবে। প্রত্যেককে নিজের সঙ্গে কোনো প্রকার ছবি সম্বলিত শনাক্তকরণ পরিচয়পত্র রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, অফিসের আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রভৃতির যে কোনো একটি সঙ্গে রাখতে হবে। কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করা যাবে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি পার্স সঙ্গে নেওয়া যাবে। অনুষ্ঠান স্থল থেকে একবার বের হলে আর ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। ১০ বছরের কম বয়সী শিশু অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করতে পারবে না। বাইরে থেকে আনা খাবার এবং পানীয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পার্কিং এর কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। অনুষ্ঠান শেষে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকবে।
কুষ্টিয়ায় লালন মেলা শুরু ১০ নভেম্বর
১০ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে লালন মেলা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়ায় শুরু হচ্ছে দুদিনের এ মেলা। মেলা উদ্বোধন করবেন লালন অনুরাগী ১০ জন প্রবীণ বাউলসাধক। সারা দেশের বাউলদের সাধুসঙ্গ ও গানের পরিবেশনার সঙ্গে থাকবে সেমিনারসহ নানা আয়োজন। গড়াই নদীতে নৌকায় হবে শোভাযাত্রা। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মেলা আয়োজন করবে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও কুষ্টিয়ার লালন একাডেমি। রবিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লালন মেলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ।