চলতি বছরের প্রথম তিন মাস হরতাল আর অবরোধের কারণে একবোরে পর্যটক শূন্য ছিল কক্সবাজার। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘদিন পর কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা শুরু হয়েছে। তবে পর্যটক আসতে শুরু করেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত নগরীর শহর কক্সবাজারে।
শীতের আমেজ মানেই সাগরের টানে ছুটে আসা কক্সবাজার। এ সময় কক্সবাজার পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে গত চার মাস এখানকার পর্যটন শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। তবে, এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত কয়েকদিন থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত দর্শনে।
পর্যটকরা বলেন, ‘আরো আগে আসার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে আসতে পারিনি। তবে এখন আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করায় ভাল ব্যবসার স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা খুবই আনন্দিত।’
পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নির্বিঘ করতে লাইফ গার্ড কর্মী বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার এ কর্মকর্তা।
সী-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ রাশেদুল আলম বলেন, ‘পর্যটকদের সেবাদানে আগে আমরা একটি সুইমিং জোনই ব্যবহার করতাম। এখন আমরা সুগন্ধা বিচের ওদিকে যারা গোসল করতে নামছে তাদের জন্যও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি।’
আর হোটেল মালিক সমিতির নেতারা জানালেন, পর্যটকদের আগমন অব্যাহত রাখতে বিশেষ ছাড় দেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য আমরা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাই পর্যটকদের আগমনের ধারা অব্যাহত থাকুক।’
২০১২ সালে কক্সবাজারে ভ্রমণকারী আসেন প্রায় ১ কোটি। কিন্তু রাজনৈতিক বেড়াজালে পড়ে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তা নেমে আসে ২০ লাখেরও নিচে।