যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘খুব শক্তিশালী অংশীদারিত্বমূলক’ সম্পর্ক প্রত্যাশা করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর এক অনির্ধারিত বৈঠকে তারা এমন আশা করেন। মন্ত্রীরা বলেন, তারা নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক। সেই আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে রবিবার ব্রাসেলসে এক নৈশভোজে এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন না।

এ সময় ইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মগেরিনি বলে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রশাসনের সঙ্গে ‘খুব শক্তিশালী অংশীদারিত্বমূলক’ সম্পর্ক চাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ এবং প্রশাসনের পালাবদলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হবো বলে আমরা সম্মত হয়েছি। বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিডিয়ের রেইনডেরস সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন যেমনই হোক না কেন, ইউরোপের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক অবস্থান জোরদার করতে হবে।
অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প প্রস্তাব করেছিলেন যে, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে আক্রমণ করলে স্বাভাবিক নিয়মে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে না। এদিকে গতকাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তুরস্ক এবং ন্যাটের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্ক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের জয়ের ফলে ইউ’র কিছু কর্মকর্তাদের আলোচনায় তৈরি হওয়া দূরত্বের কারণে ইউরোপে ফাটল সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন।
অপরদিকে রবিবারের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ‘খুব অপরিণত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিজিয়াত্র। তিনি বলেন, এ বৈঠকের বিবৃতি ‘হতাশাজনক এবং মৃগীরোগীদের প্রলাপ’। যা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ইউ নেতাদেরকে দেয়া আঘাতের মতো। এদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলকে ‘একটি সাধারণ নিয়তি’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসন।