যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে এক পুলিশ বিরোধী বিক্ষোভের সময় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের গুলিতে পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।

ডালাসের পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধ আরও ছয় পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শত শত বিক্ষোভকারী যখন রাস্তা দিয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ পুলিশের ওপর অজ্ঞাত স্থান থেকে এই গুলি শুরু হয়।

কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের গুলির প্রতিবাদ জানাতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে পুলিশ আটক করেছে। অপর এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা অবস্থায় নিজেই নিজেকে গুলি করার পর মারা গেছে বলে খবর দিচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যম।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটোতে ফিলান্ডো ক্যাসটাইল এবং লুইজিয়ানায় এল্টন স্টার্লিং নামে দুই কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর সেখানে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর বাছ-বিচার না করেই গুলি চালানোর অভিযোগ আছে। সর্বশেষ দুটি হত্যাকান্ডের পর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আবার ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

মিনেসোটেতে ফিলান্ডো ক্যাসটাইলকে পুলিশ যখন গুলি করে মেরে ফেলে তখন গাড়িতে তাঁর পাশে বসা বান্ধবী ফেসবুকে তা লাইভ স্ট্রীমিং করেন।

ফিলান্ডো ক্যাসটাইল গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ডালাসের এক ট্রাফিক স্টপে তাকে থামায় পুলিশ।

তার বান্ধবীর অভিযোগ, পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে ফিলান্ডো ক্যাসটাইল তার পকেটে হাত ঢোকান সেটি বের করার জন্য। তখনই পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলে।

পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রীমিং করার ফলে এর বিরুদ্ধে দ্রুত তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

আমেরিকার বিভিন্ন শহরে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সেরকম এক বিক্ষোভের সময় ডালাসে পুলিশের ওপর গুলি চালানো হলো।

ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকজন বন্দুকধারী বিভিন্ন ভবনের ওপর থেকে টার্গেট করে পুলিশের ওপর গুলি চালায়।

প্রেসিডেন্ট ওবামা পুলিশে ওপর এই গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।