যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ ‘উদ্ভট ও ক্ষমার অযোগ্য’: এরদোগান
যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ ‘উদ্ভট ও ক্ষমার অযোগ্য’: এরদোগান
জেরুজালেম ইস্যুতে সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পুণরায় এ আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দিলে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে না- জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে ট্রাম্পের এমন হুমকিকে ‘উদ্ভট ও ক্ষমার অযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে নিজের দল একে পার্টির এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা উচিৎ।’
এর আগে ৬ ডিসেম্বর দখলকৃত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। এতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ভোট দেয় ১২৮টি রাষ্ট্র।
ট্রাম্প আগেই হুমকি দেন, যারা জেরুজালেম ইস্যুতে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবে, তাদের অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
এরদোগান বলেন, ‘ওই ভোটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি উদ্ভট ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্মরণ করা হবে। হোয়াইট হাউস ফোন দিয়ে প্রত্যেকটি দেশকে নগ্নভাবে হুমকি দিয়েছে।’
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা দিয়েছেন, ওয়াশিংটন প্রস্তাবিত যেকোনো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন। শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখোর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অসৎ মধ্যস্থতাকারী প্রমাণ হয়েছে। আমরা তাদের আর কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করবো না।’
শুক্রবার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে মালয়েশিয়ার রাজধানী পুত্রাজায়াতেও। এতে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। জেরুজালেমের জন্য মালয়েশিয়া সব কিছু করবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। নাজিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতে কখনো কাপুরোষিচত আচরণ করবে না তার সরকার।