মুক্তামনির রক্তনালিতে টিউমার ধরা পড়েছে। আগামী শনিবার তার অস্ত্রোপচার করা হবে। এতে যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। জীবনরক্ষার জন্য মুক্তামনির হাতও কাটতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ভালো লক্ষণ যে মুক্তামনির শরীরে ক্যান্সার ছড়ায়নি। তবে অস্ত্রোপচারে রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ১০ ব্যাগ রক্ত প্রস্তুত রাখা হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা সবাই জানি বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। সব প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামবেন চিকিৎসকরা। জীবনরক্ষার জন্য হাত কাটতে হলেও সেটি করতে হবে।
সাতক্ষীরার কামারবাইশালের মুদির দোকানদার ইব্রাহিম হোসেনের দুই যমজ মেয়ে হীরামনি ও মুক্তামনি। জন্মের দেড় বছর পর থেকে মুক্তামনির সমস্যা শুরু। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তা ফুলে কোলবালিশের মতো হয়ে যায়। মুক্তামনি বিছানায় বন্দি হয়ে পড়ে।
সাতক্ষীরা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা চিকিৎসা চলে। তবে ভালো হয়নি বা ভালো হবে, সে কথা কেউ কখনো বলেননি। গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে খবর প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনায় আসে মুক্তামনির খবর। গত ১১ জুলাই মুক্তাকে ভর্তি করানো হয় বার্ন ইউনিটে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।