নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুচিত্রা রানী (৭০), ভানুমতি (৫০), রাহী (২৮), কানন সাহা (৫০), মালতী (৬০), তুলসী দেবনাথ (৫০), ভগবতী (৪০), রঞ্জিত চন্দ্র (৫৫), মাদারীপুরের চরমুগরিয়া কলেজের শিক্ষক নকুল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) ও নিতাই (৫০)। আহত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, ভোর পাঁচটা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মহাষ্টমী স্নান উৎসবের লগ্ন শুরু হয়। এ সময় থেকে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। পুণ্যার্থীদের জন্য ১৬টি ঘাটে স্নানের আয়োজন করা হয়। ১৬টি স্নানঘাটের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো রাজঘাট। পুণ্যার্থীরা বিশ্বাস করেন, এই ঘাটে স্নান করলে পুণ্য বেশি হয়। তাই এই ঘাটে ভিড় বেশি ছিল। ভিড়ের চাপে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পদদলিত হলে ১০ জন পুণ্যার্থী মারা যান। তাঁদের মধ্যে সাতজন নারী।
কয়েকজন পুণ্যার্থী অভিযোগ করেন, পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। স্নানের সময় অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় পুণ্যার্থীরা পদদলিত হন।
নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন।