প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বামপন্থীদের যোগসাজশ রয়েছে- এ অভিযোগে ভারতের পুলিশ মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যে নামকরা বামপন্থী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও রাঁচি থেকে শুরু করে আরও অনেক স্থানে ওই পুলিশি অভিযান চলে। খবর বিবিসির।

মাওবাদীদের সমব্যথী বলে পরিচিত কবি ভারভারা রাওকে হায়দরাবাদ থেকে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিজ বা পিইউসিএলের প্রধান সুধা ভরদ্বাজকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেশজুড়ে ওই তল্লাশি অভিযান আর পাইকারি গ্রেফতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের নামকরা মানবাধিকারকর্মী ও লেখক-বুদ্ধিজীবীরা।

লেখিকা অরুন্ধতী রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনসমক্ষে যারা (কথিত গোরক্ষক) মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের না ধরে উকিল, কবি, লেখক আর মানবাধিকারকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।

হিন্দু আধিপত্যের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলবেন, তাদের অপরাধী সাজানো হবে। এটি কি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হল?

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ভারতে আইনজীবী, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী এবং মানবাধিকারের রক্ষকদের বিরুদ্ধে এক বিরাট দমন অভিযান শুরু হয়েছে। এসব গ্রেফতারের ঘটনা উদ্বেগজনক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকার এ কাজ করছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে।

খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ টুইটারে এই গ্রেফতার অভিযানের নিন্দা করে বলেছেন, এটি খুবই উদ্বেগজনক। দেশের স্বাধীন কণ্ঠগুলো রুদ্ধ করার এই অভিযান বন্ধ করতে সুপ্রিমকোর্টের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত।