গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না।
বিইআরসির নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৫ পয়সা বা গড়ে ৫.৩ শতাংশ বাড়ল।
বিদ্যুতের এই নতুন দাম ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে জানুয়ারিতে গিয়ে নতুন হিসাবে ডিসেম্বর মাসের বিল দিতে হবে।
তবে এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সঙ্গে ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জকে মূল দরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানিগুলো আলাদা করে ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। এ কারণে ন্যূনতম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিল বাড়বে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেন কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এ সময় কমিশন সদস্য আব্দুল আজিজ খান, মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, রহমান মুরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জকে মূল দরের সঙ্গে সমন্বয় করার ব্যাপারে কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ২৫ শতাংশ এবং অন্য বিতরণ কম্পানির ১৩ শতাংশ গ্রাহক ন্যূনতম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও যে অতিরিক্ত বিল দিত তা থেকে মুক্তি পাবে। সব মিলিয়ে দেশে এমন গ্রাহক সংখ্যা ৯০ লাখ, যাদের বিদ্যুতের দাম বাড়বে না।
চেয়ারম্যান জানান, এ ধরনের গ্রাহক শ্রেণি আগে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহারই করুক না কেন, তাদের আরইবি এলাকায় হলে ন্যূনতম ৯০ টাকা এবং অন্য বিতরণ এলাকার জন্য ১০০ টাকা বিল দিতে হতো। এখন ডিমান্ড চার্জ ২৫ টাকার সঙ্গে ব্যবহূত বিদ্যুতের বিলই দিতে হবে।
চেয়ারম্যান আরো জানান, এত দিন বিতরণ কম্পানিগুলো একেক সময় একেক ধরনের ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকত। প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো নিরাপত্তা জামানত (সিকিউরিটি ডিপোজিট) নেওয়া যাবে না। আর যেসব গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করবে, তাদের আগের মিটারের সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত দিতে হবে।