বাস্তবতাকে সামনে রেখেই ‘বাল্য বিবাহ আইন-২০১৬’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব কিছু বিবেচনা করে এই বাল্যবিবাহ আইনটা করেছি। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে অনেক কথা বলছে। যারা কথা বলছেন, তারা কিন্তু একটানা দুই-চার বছর গ্রামে বসবাস করে নাই। এ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নাই।’
বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছর বয়সের আগে আদালতে অনুমতি নিয়ে বিয়ের বিষয় সংবলিত বাল্যবিবাহ আইন অত্যন্ত বাস্তব সম্মত একটা চিন্তা।
তিনি বলেন, এ সম্পর্কে ইনাদের কোনো ধারণা নেই। ঢাকা শহরে বাস করে গ্রামের অবস্থা জানা যায় না। গ্রামে যার একটা উঠতি বয়সী মেয়ে আছে সে জানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা কোনোদিন গ্রামে বাস করেনি, গ্রামের সমাজ সম্পর্কে জানে না। শুধু একবার গেলাম আর দেখলাম, কথা বললাম এটা সমাজ জানা হয় না। দিনের পর দিন গ্রামে বসবাস করলে গ্রামের বাস্তব অবস্থা গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সেটা উপলব্ধি করা যায়, জানা যায়।’
সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৮ বছর বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। তারপরও বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিয়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ একটা মেয়ে যেকোনো কারণে হোক যদি ১২/১৩ বছর বয়সে প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলো, তাকে অ্যাবর্সন করানো গেলো না। তখন কি হবে? যে শিশুটি জন্ম নেবে সেই শিশুটির অবস্থানটা কোথায় হবে? সেই মেয়েটির কি হবে? সমাজ কি গ্রহণ করবে? তাকে কি বৈধভাবে মেনে নেবে? নেবে না। তাহলে তাদের দায়িত্ব নেবে কে?