আদৌ কি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের টাকা হ্যাক করে স্থানান্তর সম্ভব এই বিষয় নিয়ে German Bangla News এর ভেরিফাইড ফেইছবুক পেইজে লাইভ হলেন জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত আইটি বিশেষজ্ঞ দেওয়ান শফিকুল ইসলাম । এই পর্যন্ত উনিই প্রথম অনলাইন লাইভে বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক প্রসঙ্গে কথা বললেন ।
এর আগেও অনেকে ফেইছবুক ইস্টেটাসের মাধ্যমে হ্যাক প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ।
দেওয়ান শফিকুল ইসলাম জার্মান বাংলা লাইভে বলেন ,পুরা ঘটনাটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভয়াবহ গাফিলতি তা স্পষ্ট। গতমাসের ঘটনা, দেশের মানুষের এতো এতো টাকা চুরি গেছে, পুরাটাই ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি সরকারকেও জানায় নাই। যেভাবেই চুরি যাক, এর দায়টা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
Is it possible to hack Bangladesh Bank – IT Specialist Dewan Shofik is live with #germanbanglanews
Posted by German Bangla News on Tuesday, March 15, 2016
হ্যাকই যদি হতো তাহলে রাগব বোয়ালদের একাউন্ট থেকে হলোনা কেন ? ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে চূনো পুটি ।
আর হ্যাক সাধারনত দুই ভাবে করা হয় , একটা হচ্ছে টেকনিকেল ওয়েতে আর অন্যটা হচ্ছে মানুষকে বোকা বানিয়ে । এই বিষয়ে অনেক সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন রাগিব হাসান কম্পিউটার নিরাপত্তার গবেষক ও শিক্ষক।
দেওয়ান শফিকুল ইসলাম চুল চেরা বিশ্লেষণে বলেন , যেই হ্যাকার ইংরেজি ইস্পেলিং ঠিক করে লিখতে পারে না , তার জন্যে
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মত জায়গায় হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব ।
আর মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের টাকা স্থানান্তর করতে হলে নির্দিষ্ট জায়গার ,নির্দিষ্ট কম্পিউটার ব্যবহার করে ইস্পেসাল প্রোভাইডেড সিকিউরিটি স্টেপ পার করে এক্সেস পেতে হয় । তারপর রিজার্ভ ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া যায় টাকা স্থানান্তরের । এবং সাথে সাথেই করতিপক্ষ টাকা স্থানান্তরের নটিফিকেশন পেয়ে যায় ইমেইল অথবা ফেক্স এর মাধ্যমে।এবং এই নিরদেশ দিতে পারে করতিপক্ষের ধারা সিলেক্টেড কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি।
তিনি আরো বলেন , বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটারে ম্যালওয়ার বসিয়ে সেখানকার তথ্য চুরি করে অথবা কীস্ট্রোক রেকর্ডার বসিয়ে কীবোর্ডে যা যা টাইপ হচ্ছে সব চুরি করা হয়েছে, তার পর সেখান থেকেই পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য গুপ্ততথ্য চুরি গেছে।কিন্তু এই ম্যালওয়ার বসানো হলো কিভাবে ? ওই জায়গা সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষেধ। বঙ্গভবনে যেমন যে কেউ প্রবেশ করতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকেও সবাই প্রবেশ করতে পারে না । বঙ্গভবনে যেমন চুরি করতে তার নিরাপত্তা কর্মীদের সাহায্যে চুরি করতে হবে ঠিক তেমনটাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও চুরি করতে ভিতরের লোকের সাহায্য ছাড়া সম্ভব না । এই ম্যালওয়ার বসানোটা হতে পারে একমাত্র গাফিলতির কারণে অথবা করতিপক্ষের সাহায্যের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সরকারকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা আরো জোরালো করতে হবে । তবে রক্ষক ভক্ষক হলে ভবিষ্যতে এমন চূরি ঠেকানো যাবে না । হ্যাকিং আর চুরির মধ্যে কোন তফাত নেই তার মানে হচ্ছে এটি মানবিকতার অবক্ষয়।
আমাদের ইউটিউব লিঙ্ক :