নয়টি অ্যাওয়ার্ড জিতে সনি গিল্ড অ্যাওয়ার্ডসের আসরটি নিজের করে নিয়েছে ‘বাজিরাও মাস্তানি’। এ সিনেমার জন্যই সেরা অভিনেতার খেতাব জিতে নিয়েছেন রানভির সিং। আর ‘পিকু’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর খেতাব পেয়েছেন দিপিকা পাড়ুকোন।
সেরা পরিচালক ছাড়াও চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, শব্দ সংযোজন, পোশাক নির্দেশনা, সংলাপ, নৃত্য নির্দেশনা এবং পাশ্বর্-চরিত্রে সেরা অভিনেত্রীসহ মোট ৯টি বিভাগে সেরার খেতাব ছিনিয়ে আনে ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিত ‘বাজিরাও মাস্তানি’।
‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের খেতাব সঞ্জয় লিলা বানসালি পেলেও, সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে কবির খানের ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’। সেই সঙ্গে সেরা চিত্রনাট্য, সেরা গল্পের পুরস্কারও গেছে সিনেমাটির ঝুলিতে। এ সিনেমায় পাকিস্তানি এক সাংবাদিকের ভূমিকায় অসামান্যা অভিনয় করে পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার খেতাব জিতেছেন নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।
আসরের দ্বিতীয় পুরস্কারটি নাওয়াজউদ্দিন জিতে নেন ‘বাদলাপুর’ সিনেমার জন্য। নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনয়শিল্পীর খেতাব জিতেছেন তিনি। আর হাস্যরসাত্মক চরিত্রে সেরা অভিনয়শিল্পীর খেতাব জিতেছেন দিপাক ডোবরিয়াল, ‘তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস’ সিনেমার জন্য।
এ বছর অভিষেকের সিনেমাটিতে বাজিমাত করেছেন বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। প্রথম সিনেমা ‘কিস কিস কো প্যায়ার কারু’র জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নবাগতের খেতাব জিতে নিয়েছেন কপিল শর্মা। ‘দাম লাগাকে হাইশা’ সিনেমায় স্বনির্ভর কিন্তু মোটা এক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেয়া ভুমি পেদনেকার জিতেছেন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নবাগতার অ্যাওয়ার্ড। ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ – এর মুন্নি হারশালি মালহোত্রাকেও বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
সেরা প্লেব্যাক গায়কের খেতাব জিতেছেন অরিজিৎ সিং, ‘হামারি আধুরি কাহিনি’র একই শিরোনামের গানটির জন্য। আর সেরা প্লেব্যাক গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন মোনালি ঠাকুর, ‘দাম লাগা কে হাইশা’র ‘মোহ মোহ কে ধাগে’ গানটির জন্য। সেরা সঙ্গীত পরিচালনার স্বীকৃতি গেছে আমাল মালিক, আঙ্কিত তিওয়ারি ও মিট ব্রোস অঞ্জনের কাছে ‘রয়’ সিনেমার জন্য।