অবশেষে প্রায় দেড়-দশক পর নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের স্বপ্নের ‘প্রকল্প হাই-টেক পার্ক’।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমির ওপর মোট ২০কোটি ৭৫ লাখ ৯০হাজার মার্কিন ডলার (২০৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ব্যয়ে এ হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের সহযোগী কোম্পানি সামিট টেকনোপলিস লিমিটেড ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি ইনফোসিস পার্কস লিমিটেড যৌথভাবে এ অর্থ যোগান দেবে।
এ লক্ষ্যে সরকার খুব শিগগিরই ডেভেলপার কোম্পানি নিয়োগ করতে যাচ্ছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (কেএইচটিপি) নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর করার জন্য আগামী ২৮ জুন রবিবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) ও সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনের ওয়াটার গার্ডেনে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধান অতিথি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি থাকবেন।
বিএইচটিপিএ কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে পার্কের মোট জমি ৫টি ব্লকে ভাগ করেছে। এরমধ্যে ২ ও ৫ নং ব্লকের জন্য সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সাথে চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের আরো একটি একটি স্থানীয় কোম্পানি ফাইবার অ্যাট দ্যা রেট হোম’র সাথে ব্লক-৩ এর জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তি হলে এ কোম্পানি ৪০ একর জমির উন্নয়ন কাজ লাভ করবে।
এদিকে খসড়া চুক্তি অনুযায়ি সামিট টেকনোপলিস লিমিটেড ও ইনফিনিটি ইনফোসিস পার্কস লিমিটেড যৌাথভাবে ব্লক-২ এর অধীনে ৬২ একর জমির ওপর মাল্টি-টিন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি), কনভেনশন সেন্টার, হোটেল, শুল্ক-অবকাঠামো, ওয়্যারহাউস এবং শিল্প-এলাকার উন্নয়ন কাজে ২০কোটি ৭৫ লাখ ৯০হাজার মার্কিন ডলার খরচ করবে।
এছাড়াও তারা ব্লক-৫ এর অধীনে ২৯ একর জমির ওপর শিল্প-এলাকার উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ করবে।