দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের স্যানিটেশন হচ্ছে পিট বা সেপটিক ট্যাংক সিস্টেমের। কিছুদিন ব্যবহারের পর এসব পয়ঃবর্জ্যে ভরাট হয়ে যায়। এরপর ব্যবহারকারীরা এসব পয়ঃবর্জ্য আশপাশের ড্রেন, নদী, খাল, ডোবা, নালায় ফেলছে। কোনো ধরনের পরিশোধন ছাড়াই এসব পানি ও বায়ুতে মিশে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে দূষণ ঘটাচ্ছে।
এ অবস্থার মধ্যে চলতি মাসকে জাতীয় স্যানিটেশন মাস-২০১৭ হিসেবে উদযাপন শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। এবারের জাতীয় স্যানিটেশন মাসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, পয়ঃবর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, উন্নত স্যানিটেশন সম্ভাবনা।
রোববার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতের মাসব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, ইউনিসেফের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মি. এডওয়ার্ড বিগবেডার প্রমুখ।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ এখন স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে। ভাসমান মানুষ এবং দুর্গম ও বস্তি এলাকার একভাগ লোক স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের আওতার বাইরে রয়েছে। তবে সরকার শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন অর্জন করতে কাজ করছে।
আর স্যানিটেশনের ভয়াবহ দুর্বলতা হচ্ছে, ৯৮ ভাগ পয়ঃবর্জ্যেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ কারণে বাংলাদেশের দূষণে বছরে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ২৯ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা (বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন)।
পরিবেশ দূষণের এই ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের সব স্থানীয় সরকার সংস্থার বাজেটের ১৫ ভাগ অর্থ টেকসই ও পরিবেশবান্ধব স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।