‘দালালের কাছে যাবেন না। তাতে প্রতারিত হবেন। সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে বলুন। আর বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা যদি আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব না দেন তা হলে সরাসরি আমাকে বলুন’।
রবিবার বিআরটিএর ঢাকা মেট্রো সার্কেল উত্তরার দিয়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এ কথা বলেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এর আগে বিআরটিএ ঢাকার মিরপুর ও কেরানীগঞ্জে গণশুনানির আয়োজন করে। এটি গণশুনানির তৃতীয় বৈঠক। গণ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিআরটিএর সেবাগ্রহীতা ও সেবা প্রত্যাশী এবং বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গণশুনানির শুরুতে অভিযোগ উত্থাপণ করেন বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা। তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত, যানবাহনের ফিটনেস সনদ, মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ও রেজিষ্ট্রেশন সনদ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন। অভিযোগগুলো সরাসরি সমাধানের নির্দেশ দেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান। তিনি বিআরটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিটক সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য উপস্থিত সেবা প্রত্যাশীদের অনুরোধ জানান। বিআরটিএর কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দ্যেশে নজরুল ইসলাম দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা পরিবর্তন করে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি গ্রাহক হয়রানির কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এ মর্মে হুশিয়ার করে দেন।
গণশুনানির অগ্রগতির ব্যাপারে বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) নাজমুল আহসান মজুমদার বলেন, গণশুনানির ফলে গ্রহকদের অভিযোগের সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। যেসব কর্মচারী ও কর্তকর্তারা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করতো তারা সর্তক হয়ে গেছে। বিআরটিএর এ কর্মকর্তা বলেন, বিআরটিএর মিরপুর অফিসে একজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারীর কর্মকাণ্ড চেয়ারম্যান তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশ মতে তিনি কাজ শুরু করেছেন। ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।